রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি (Delhi) যাওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে বারবার রাজধানীতে তৃণমূলের (TMC) ধর্না কর্মসূচির অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। ফের একবার নিয়ম মেনে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) কাছে আবেদন করল জোড়াফুল শিবির। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লির রামলীলা ময়দানে (Ramleela maidan) শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাইল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)।

এবছর ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দানে ধর্নার অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু অমিত শা-র (Amit Shah) অধীনস্থ দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) অনুমতি না দেওয়ায় তৈরি হয় রাজনৈতিক বিতর্ক। দিল্লির তিনটি জায়গায় ধর্নার অনুমতি চেয়ে চলতি মাসেই আবেদন করে তৃণমূল। চিঠিতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে রামলীলা ময়দানে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের থাকা এবং রাত্রিবাসের অনুমতি চাওয়া হচ্ছে।

এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে যেভাবে বিরোধীরা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে তাতে রাতের ঘুম উড়ে গেছে নরেন্দ্র মোদির। বাংলাকে বঞ্চনা করে মা মাটি মানুষের সরকারকে আটকানোর চেষ্টা করছেন গেরুয়া শিবিরের কর্তারা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “গান্ধীজির জন্মদিনে, আমরা সবাই দিল্লি যাব। রাস্তায় আটকালে, সেখান থেকেই দিল্লিতে আওয়াজ যাবে”। সেই হুংকারকে ভয় পেয়েই যে বারবার তৃণমূলের দিল্লি আসা আটকাতে চাইছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অধীনস্থ পুলিশ, সেটা বেশ স্পষ্ট।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে যে অনুমতি না দিলেও বাংলার মানুষের বঞ্চনার প্রতিবাদ আটকে থাকবে না। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে আইন মেনে সুষ্ঠুভাবে রামলীলা ময়দানে ধর্না কর্মসূচির যে আবেদন করা হল, তাতে কেন্দ্রের তরফে কী পদক্ষেপ করা হয় এখন সেটাই দেখার।

