মমতা-বিক্রমসিঙ্ঘের সাক্ষাৎ নিয়ে ‘কু.রুচিকর’ পোস্ট! শুভেন্দুর ‘শা.স্তি’র দাবিতে জয়শঙ্করকে চিঠি তৃণমূলের

ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা দলবদলু শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) অবিলম্বে ‘সেন্সরের’ (Sensor) দাবি জানাল তৃণমূল (TMC)। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে (S Jaishankar) চিঠি লিখে অভিযোগের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’brien)। গত বুধবারই স্পেন যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরে মুখোমুখি হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ও শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। একে অপরের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই রাজ্যে আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে (BGBS) রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে আমন্ত্রণ জানান মমতা। এর মধ্যে কোনও বিতর্ক থাকার কথা নয়। কিন্তু দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কথোপকথন নিয়েই বিতর্কিত ও  মন্তব্য করেন দলবদলু শুভেন্দু। আর তা নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে বিরোধী দলনেতার এমন নিম্ন রুচির মন্তব্যে শুভেন্দু তথা গেরুয়া শিবিরের ‘দেউলিয়াপনা’ যে ফের সামনে উঠে এল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে স্পেন যাওয়ার পথে দুবাই বিমানবন্দরের লাউঞ্জে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিক্রমসিঙ্ঘেকে আমন্ত্রণ জানান মমতা। সেই সময় শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মমতার উদ্দেশে বলেন, আপনি কি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন? জবাবে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ওহ্‌ মাই গড!’’ আর এই কথোপকথনকেই মিথ্যা রাজনীতির রং লাগিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা। রাজ্যে লগ্নি টানতে বর্তমানে মাদ্রিদ সফরে রয়েছেন মমতা। আর তা দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা। সেকারণেই সামনে আসছে বিজেপির রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার আসল ছবি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহের সাক্ষাৎ নিয়েও গদ্দার ‘কাল্পনিক’ টুইট করে বাজার গরমের চেষ্টা করেছে। গদ্দারের টুইট ভারত-শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং বাংলায় সম্ভাব্য বিনিয়োগের সম্ভাবনার পরিপন্থী।

ডেরেকের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতার এই ভূমিকা নিন্দনীয়। তিনি রাজ্যের সম্পর্কে ভ্রান্ত ও সংকীর্ণ কথা বলেছেন। নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্য সম্মেলন হবে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার আগে এরকম কটাক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে শুধু প্রভাব ফেলবে না, পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাতেও কূপ্রভাব ফেলতে পারে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় চলে। সেখানে গঠনমূলক সহযোগিতাই মূল মন্ত্র। কিন্তু যে ভূমিকা বিরোধী দলনেতা নিয়েছেন, তা দেশের বিদেশনীতিকেও বিপন্ন করতে পারে।

 

 

 

 

 

 

Previous articleবিরোধী দলনেতা কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করেছেন, তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু
Next articleবু.লেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল না কেন? কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন অনন্তনাগের শহিদের মায়ের