Saturday, August 23, 2025

 

কুণাল ঘোষ
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী

দুবাই: দুবাই সফরের প্রথম দিনেই বড় সাফল্য। বাংলায় বন্দর তৈরিতে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত সাহায্য সাহায্য করবে দুবাই। একই সঙ্গে রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে সাহায্য করবে তারা। এর পাশাপাশি শুক্রবার শিল্প বৈঠকের আগে বাংলার ঘরে ঘরে শিল্পের ছোঁয়া পৌঁছে দিতে দুয়ারে শিল্পের লক্ষ্য নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বড় শিল্প আসবে, কিন্তু তার সঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে ‘দুয়ারে শিল্প’। বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বঙ্গে বিনিয়োগ টানতে স্পেনের পর বৃহস্পতিবার দুবাইয়ে পা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কাল শুক্রবার দুবাইতে শুরু হচ্ছে শিল্প সম্মেলন। তার আগে এদিন প্রতিনিধিদলে থাকা আমলা ও রাজ্য থেকে যাওয়া শিল্পপতিদের সঙ্গে হোমওয়ার্ক সেরে নেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামীকালের শিল্প সম্মেলনকে মাথায় রেখে এই বৈঠকে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে গ্রামীণ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। গ্রামের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গিয়েছে পাকা রাস্তা। আমাদের বড় শিল্প আসছে এবং আসবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বড় শিল্পের ক্ষেত্রে আমরা উৎসাহিত। কিন্তু তার সঙ্গে এমএসএমই অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আমরা বেশি জোর দিচ্ছি। চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে এমএসএমই-তে আমাদের সবচেয়ে বেশি ফোকাস রয়েছে। যাতে বাংলার বাড়িতে বাড়িতে শিল্পের ছোঁয়া পৌঁছে যায়। মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগের নাম দিয়েছেন ‘দুয়ারে শিল্প’।

অন্যদিকে, দু’দিনের দুবাই সফরে বৃহস্পতিবার ‘জাফজা ডিপি ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘জেবেল আলি বন্দর’ পরিদর্শনে যায় বাংলার প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ‘জাফজা ডিপি ওয়ার্ল্ড’ দুবাইয়ের শিল্পক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চল থেকে সরাসরি গোটা শিল্পমন্ত্রী এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য চলে। আবার ‘জেবেল আলি বন্দর’ দুবাইয়ের গভীর সমুদ্র বন্দর। দুবাইয়ের এই বন্দরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন সরকারি আধিকারিকরা। আগামীদিনে রাজ্যে বন্দর তৈরিতে অত্যাধুনিক দুবাইয়ের এই বন্দরের পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সহায়তা কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা খতিয়ে দেখেন মুখ্যসচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানেই ঠিক হয় রাজ্যে বন্দর তৈরিতে পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সাহায্য করবে দুবাই। একই সঙ্গে রাজ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরিতে সাহায্য করবে তারা। মরুশহরের বন্দর পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রীকে এই সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। দুবাই সফরের প্রথম দিনে বড় সাফল্য এল বাংলার ঝুলিতে।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version