‘ফালতু চা’ বিক্রি করে সংবাদ শিরোনামে হুগলির যুবক

কথায় বলে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। আর সেই প্রবাদকেই এবার সত্যি করলেন ভদ্রেশ্বরের (Bhadreswar) এক যুবক। সম্প্রতি বাবাকে হারিয়ে সংসারের দায়িত্ব সামলাতে বাড়িতে বাড়িতে তৈরি করা চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছিল ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়ার বাসিন্দা সৌরভ আলি (Sourav Ali)। গ্রাজুয়েশনের (Graduation) গণ্ডি সম্পন্ন করে আইটিআই পাশ করেও কোনো চাকরি না পেয়ে অবশেষে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত এই যুবক। আর সেই বা বিক্রি করেই এবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এল সৌরভ।

তেলিনিপাড়া ভিক্টোরিয়া জুটমিল থেকে শুরু চা বিক্রি। তারপর ফুটপাতে ছোটো দোকান। পাশাপাশি ফোনের মাধ্যমে বাড়িতে বা অফিসেও চা পোঁছে দিত সে। পরিবারের সকলের মুখে দুবেলা অন্ন জোগাতে এই পথকেই বেছে নেয় সে। এরপর ধীরে ধীরে বাড়ির কাছেই একটি দোকান নিয়ে চা বিক্রি শুরু করে সে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তার দোকানে করে নানা রকম আইটেমের চা তৈরি করে সকলের কাছে চায়ের নাম ছড়িয়ে পড়ল সকলের মুখে মুখে। নাম ফালতু চা। নামে ফালতু হলে কি হবে। স্বাদে, গন্ধে সেই চা মন মজে ওঠার মত চা। সাধারণ মানুষ থেকে শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব সকলের মুখে ফালতু চায়ের প্রশংসা।

বহু মানুষ চা খেতে সোজা পোঁছে যাচ্ছেন সেই দোকানে। মানুষ চা পান করতে আসছে তেলিপাড়ার আর কে এম ষ্ট্রীট এর রেলওয়ে লাইনে সৌরভের ফালতু চায়ের দোকানে। সৌরভ জানান, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভাই মহম্মদ আলমগীর, মহম্মদ আসলাম আলি, মহম্মদ রুস্তম আলী ও জাফর আলি। সৌরভ ইতিমধ্যে পেয়ে সরকারি রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেটও পেয়েছে। চা বিক্রেতা আরও জানিয়েছেন, জাতপাত ভুলে সবাই ফালতু চায়ের দোকানে এসে বিভিন্ন ধরনের চা পান করে। সৌরভের কথায় সকলের আশীর্বাদ না থাকলে এই ব্যবসা করতে পারতাম না।