কেন্দ্রীয় পদ গিয়েছে আগেই। এবার রাজ্য বিজেপি দফতরে(BJP Office) ঘরছাড়া হলেন দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)। মুরলিধর সেন লেনে ‘গৃহহীন’ হলেন আর এক বরিষ্ঠ নেতা রাহুল সিনহা(Rahul Sinha)। মুরলিধর সেন লেনে বিজেপি দফতরে দিলীপ-রাহুলের ঘর ভেঙে ফেলা হল রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই গৃহহীন দিলীপ-রাহুলরা। বিষয়টি জানার পর হতাশ গলায় দিলীপ জানালেন, “ঘর ভাঙার আগে কথা বলে নেওয়া উচিত ছিল।”

বিজেপি সূত্রের খবর, সংস্কারের কারণ দেখিয়ে ২ নেতার ঘর ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার ঘর ভেঙে সেখানে আইটি সেলের দফতর করা হবে। নিজস্ব ঘরের বদলে কমন রুমে বসতে বলা হয়েছে নেতাদের। বিষয়টি জানার পর দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার ঘরের এসি মেশিন খুলে নেওয়া হয়েছিল দেখেছিলাম। ঘরটা ভেঙে ফেলা হয়েছে কি না, জানি না। তবে কলকাতা ফিরে নিশ্চয়ই মুরলীধর সেন লেনের পার্টি অফিসে যাব দলের সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে, ঘর থাক বা না থাক। তবে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার আগে আমাকে একবার জানানো উচিৎ ছিল।”

মুরলিধর সেন লেনে বিজেপি দফতরে দিলীপ ঘোষের জন্য একটি ঘর বরাদ্দ হয়েছিল তিনি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর থেকেই। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি করা হয় তাঁকে। তবে বর্তমানে সে পদও হারিয়েছেন তিনি। আপাতত দিলীপ ঘোষের পরিচয় তিনি শুধুই বিজেপি সাংসদ। এদিকে রাজ্য রাজনীতিতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। শুভেন্দু লবি, দিলীপ লবি ও সুকান্ত লবিতে ভাগ হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এমন পরিস্থিতিতে দিলীপ এই ঘরভাঙা নিঃসন্দেহে বঙ্গ রাজনীতির জলঘোলা করতে শুরু করেছে। তবে এই ঘটনায় সব জল্পনা খারিজ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, সংস্কারের জন্য ভাঙা হচ্ছে, আমার ঘরও ভাঙবে।
