ফের ডে.ঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃ.ত কিশোরী, একাধিক পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার

এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একদিনে ছয় জন।

শহরে ফের ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর। শনিবার সন্ধ্যায় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিশোরীর ডেথ সার্টিফিকেট ডেঙ্গি শক সিনড্রোম উল্লেখ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।আসলে বাংলায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডেঙ্গি। পুজোর আগে নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে শহরে বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে একদিনে ছয় জন। এর মধ্যে দুজন রোগী কলকাতার বাসিন্দা এবং বাকি চারজন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, ডোনা দাস নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। ডোনা যাদবপুর এলাকার বাসিন্দা ছিল বলে জানা গিয়েছে। শনিবার তাঁকে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। বেলা ২ টো ৪০ মিনিটে ওই কিশোরী প্রয়াত হয় বলে জানা গিয়েছে। সাতদিন ধরে ওই কিশোরী জ্বরে ভুগছিল বলে জানা গিয়েছে। একের পর এক মৃত্যুর সংখ্যা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে তুলেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে গত ১০ দিনে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। এ বছরের শুরুতে যে সংখ্যাটা ছিল, তার কয়েকগুণ বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। গত দশ দিনে সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১,১০০ জন। চলতি বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল ২,৭৯০ জন। সেখানে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৮০২ জন।

শহরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, গত বাম সরকারের পাপের ফল ভুগছে আমাদের শহর। কলকাতা পুরসভা ডেঙ্গি দমনে সর্বোতভাবে চেষ্টা করছে, একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের স্পষ্ট বার্তা, সকলকেই নোটিশ ধরানো হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নোটিশ ধরিয়ে আদৌ কি ডেঙ্গি পরিস্থিতির বদল আসবে?

উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কোনও গাফিলতির অভিযোগ ওঠেনি। সমস্যা দুটো। চিকিৎসকরা বলছেন, আক্রান্তরা অনেকটাই দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। তখন চিকিৎসা করাটাই সমস্যার হয়ে যাচ্ছে।  দুই, প্লেটলেট হঠাৎ করেই নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের আলোচনা কোথাও গিয়ে অসম্পূর্ণই থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, নাগরিকদেরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।