তিন মাস ধরে নিখোঁজ ছিল মণিপুরের দুই পড়ুয়া। তাদের মধ্যে একজন ছাত্রী। জুলাই মাস থেকেই তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাদেরকে খুন করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে কিছু ছবি। তাতেও জানা গিয়েছে যে ওই দুজনকে খুন করা হয়।যাদের খুন করা হয়েছে তাদের নাম হিজাম লিনথোইনগামবি ( ১৭) এবং ফিজাম হেমজিত ( ২০)। এই দুজনেই মেইতেই সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে।

মণিপুরে হিংসা শুরুর পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট। সম্প্রতি সেই ‘সাসপেনসন’ তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ইন্টারনেট আবার চালু হতেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে সেই ছবি। মণিপুর সরকার এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের নজরে এসেছে সেই ছবি। তাঁরাও জানিয়েছেন যে ওই দুজন সেই নিখোঁজ পড়ুয়া। মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও জানানো হয়েছে যে ওই দুই ছাত্র-ছাত্রীর নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগে, গত অগাস্ট মাসে মণিপুর সরকার, সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল যে ওই দুজনকে অপহরণ করেছিল কুকি সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। তারা বিষ্ণুপুরের কাছাকাছি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়।


প্রসঙ্গত, গত ৩ মে থেকে মণিপুরে শুরু হয় মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতি হিংসা। ওই হিংসা এবং সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের বেশি। আহত হয়েছেন প্রায় ১২০০ জন। জানা গিয়েছে, যখন মণিপুরে ওই জাতি দাঙ্গা ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল তখন থেকেই নিখোঁজ ছিল ওই দুজন পড়ুয়া। গত ৬ জুলাই থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এতদিন পরে তাদের দুজনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যে ছবিগুলি ভাইরাল হয়, তার মধ্যে একটিতে দেখা গিয়েছে ওই দুজনের মৃত দেহ মাটিতে পড়ে আছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে তারা ভয়ে , আতঙ্কে সিটিয়ে বসে আছে। তাদের ঠিক পিছনেই আছে দুজন সশস্ত্র ব্যক্তি। হিজাম লিনথোইনগামবি নামে ওই ছাত্রী এবং ফিজাম হেমজিতকে খুন করা হয়েছে, ওই ছবি দেখে, তা এক প্রকার নিশ্চিত সেখানের প্রশাসনের আধিকারিকরা।
