যা ঘটেছিল আজকের দিনে,দেখে নিন একনজরে

দুর্গাচরণ রক্ষিত

১৮৪১ দুর্গাচরণ রক্ষিত (১৮৪১-১৮৯৮)

এদিন হুগলির চন্দননগরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃহীন হলে মাত্র ১৪ বছর বয়সে ফরাসি সংস্থা ‘ক্যামা অ্যান্ড ল্যামারু’র সহকারী কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। পরে চাকরি ছেড়ে স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করেন। চন্দননগরের সবরকম জনহিতকর কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। গরিব মানুষদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধের দোকান খুলেছিলেন তিনি; এমনকী বিনামূল্যে চাল-ডালের বন্দোবস্তও করেছিলেন। ১৮৮৫ সালে ‘একল দুর্গা’ নামে একটি স্কুলও চালু করেন তিনি। আজ সেই স্কুলের নাম ‘দুর্গাচরণ রক্ষিত বঙ্গ বিদ্যালয়’। ১৮৯৬ সালের ৬ জুন ফরাসি সরকারের তরফ থেকে তাঁকে ‘লিজিয়ঁ দ্য অনার’ সম্মানে সম্মানিত করা হয়। সত্যজিৎ নন, দুর্গাচরণ রক্ষিতই ছিলেন প্রথম ভারতীয় ও বাঙালি, যিনি এই সম্মান লাভ করেন।

রবার্ট ক্লাইভ

১৭২৫ রবার্ট ক্লাইভ (১৭২৫-১৭৭৪)

এদিন জন্মগ্রহণ করেন। পলাশি যুদ্ধের বিজেতা এবং বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের অন্যতম স্থপতি। আয়ারল্যান্ডের একটি মাঝারি জমিদার পরিবারের সন্তান রবার্ট ক্লাইভ স্কুলে ছাত্র হিসেবে তেমন কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে পারেননি। আঠারো বছর বয়সে তিনি মাদ্রাজে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরিতে প্রবেশ করেন। ক্লাইভ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেন এবং ১৭৪৮ সালে মাদ্রাজ সেনাবাহিনীতে সর্বনিম্ন কমিশন প্রাপ্ত অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। চন্দননগর থেকে ফরাসিদের বিতাড়ন ও মিরজাফরকে সিরাজউদ্দৌলার স্থলাভিষিক্ত করা এ দুটি ঘটনার মূল্যায়ন করতে গিয়ে ক্লাইভ পলাশি যুদ্ধ শেষ হওয়ামাত্র কোর্ট অফ ডাইরেক্টর্সকে লিখেছিলেন যে, ফরাসিদের পরাজিত ও বাংলা থেকে বিতাড়িত করা ছিল তাঁর জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব।

লেচ ওয়ালেসার

১৯৪৩ লেচ ওয়ালেসার জন্মদিন। পোল্যান্ডে ১৯২৬-এর পর প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি জনগণের ভোটে জিতে ১৯৯০-তে রাষ্ট্রপ্রধান হন। ৪১ বছর আগে স্বাধীন ট্রেড ইউনিয়ন সলিডার্নোস্ক-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল পোল্যান্ডে৷ খুলে গিয়েছিল ইউরোপ থেকে সমাজতন্ত্রের বিদায়ের পথ৷ সেই সলিডারিটি আন্দোলনের নেতা ছিলেন লেচ ওয়ালেসা। নোবেল শান্তি পুরস্কার পান ১৯৮৩-তে।

মাতঙ্গিনী হাজরা

১৯৪২ মাতঙ্গিনী হাজরা
(১৮৭০-১৯৪২) এদিন শহিদ হন। ‘ইংরেজ তুমি ভারত ছাড়ো’, মুখে এই স্লোগানের সঙ্গে এক হাতে শাঁখ আর অন্য হাতে তেরঙ্গা পতাকা নিয়ে ব্রিটিশ-বিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। তমলুক থানা আর কোর্টের দিকে এগিয়ে যাওয়া অগাস্ট আন্দোলনের সেই মিছিলের পথ আটকে গুলি চালিয়েছিল ইংরেজ পুলিশ। মিছিলের সামনে গান্ধীবুড়ি, মাতঙ্গিনী হাজরা। তমলুকের বানপুকুরের পাড়ে ইংরেজদের ছোঁড়া তিন-তিনটি গুলি তাঁর শরীরে গেঁথে গিয়েছিল।

১৩৪৮ ব্ল্যাক ডেথ পৌঁছল লন্ডনে। এর আগে ইংল্যান্ডের রাজধানী এমন অতিমারির কবলে পড়েনি। মাছিবাহিত বুবোনিক প্লেগের ব্যাকটেরিয়া ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস কালো ইঁদুরের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অভিজাত নারী-পুরুষ থেকে শুরু করে গির্জার যাজক, কাউকে রেয়াত করেনি সেই রোগ। জনা দুয়েক প্রাক্তন চ্যান্সেলর, ক্যান্টারব্যুরির জনা তিনেক আর্চ বিশপ, ২৩ বছরের যুবতী ল্যাঙ্কারস্টারের ডাচেস, জন অফ গাউন্টের প্রথম পত্নী এরকম কয়েকজন মারা যেতেই মধ্যযুগীয় লন্ডনে ছড়িয়ে পড়ল প্রবল আতঙ্ক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় শেষে গোরস্থানে নয়, আলাদা গর্ত খুঁড়ে প্লেগে মৃতদের দেহ তাতে ঢেলে মাটি চাপা দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হল প্রশাসনকে। ব্রিটিশ ইতিহাসে এই মারাত্মক স্বাস্থ্য সংকটের জেরে বদল এসেছিল মজুরির হার থেকে স্থাপত্যের নকশা, সব কিছুতেই।

গুরুপ্রসাদ সেন

১৯০০ গুরুপ্রসাদ সেন (১৮৪২-১৯০০)
পূর্ববঙ্গের প্রথম এমএ গুরুপ্রসাদ সেন এদিন প্রয়াত হন। আইনজীবী ছিলেন। মূলত তাঁরই চেষ্টায় বিহারে নীলকর চাষিরা অত্যাচার-মুক্ত হয়। বিহারে প্রথম ইংরেজি পত্রিকা ‘বিহার হেরল্ড’ প্রকাশ করেন তিনিই। ধর্ম বিশ্বাসে উদারপন্থী ও বিধবাবিবাহের উৎসাহী সমর্থক ছিলেন গুরুপ্রসাদ।

Previous articleকৃষক আন্দো.লনের জের! বাতিল একাধিক ট্রেন, দেরিতে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসও
Next articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ