বনগাঁ জেলায় মণ্ডল স্তরের সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকদিন আগে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সেই দীর্ঘ পোস্টের ছত্রে ছত্রে ছিল সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে তাঁর ক্ষোভ এবং আগামী দিনে বিজেপির পথ চলা নিয়ে আশঙ্কার কথা।
এবার ফের দলের কোন্দলের প্রতিবাদ ও সংশোধনের দাবি জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন বিধায়ক।অসীমবাবু সোমবার লিখেছেন, “২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি একটা আসন না পেলেও দেশে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু আমাদের (বিজেপি) উচিৎ সমস্ত অন্তর্দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক মর্যাদা দিয়ে, সংগঠনকে শক্তিশালী করে বাংলা থেকে কমপক্ষে ৩৫ জন এমপিকে জয়লাভ করিয়ে দিল্লিতে পাঠানো। নিজেদের ভুলের জন্য নিজেরাই যেন নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত না করে বসি।”
পোস্ট নিয়ে গেরুয়া শিবিরে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বিধায়কের এই লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়া নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলার বুকে একের পর এক নির্বাচনে হেরেই চলেছে বিজেপি।এর মধ্যেই পদ্ম শিবির চাইছে অন্তত গোটা ১২ টি আসন জিততে। কিন্তু অসীম যেভাবে জানিয়ে দিলেন যে ২০২৪ এর ভোটে বাংলা থেকে বিজেপি একটি আসনও জিততে পারবে না, তাতে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি।
দুদিন আগে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল দলের একাংশ। পোড়ানো হয়েছিল কুশপুতুল। এদিকে তার প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল বিজেপিরই আরেক গোষ্ঠী। সব মিলিয়ে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাঁকুড়ার তালডাংরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।দীর্ঘদিন ধরেই দলের কর্মীদের রোষের মুখে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন দলের একাংশই। সাংসদকে পার্টি অফিসে তালাবন্দি করে রাখার ঘটনাও ঘটেছিল। পরবর্তীতে সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।