একটি জাতির জনসংখ্যার ভিত্তিতেই তাদের অধিকার নির্ণয়ের দাবি করেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। জাতি ভিত্তিক জনগণনা প্রসঙ্গে রাহুল এহেন বক্তব্যের সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করলেন কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। তিনি জানালেন, যত জনসংখ্যা তত অধিকার নীতি লাগু করার আগে এর পরিণাম সবিস্তারে বোঝা উচিৎ।

রাহুলের বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সুযোগের সমতা কখনই ফলাফলের সমতার সমান নয়। যারা ‘জিতনি আবাদি উতনা হক’ সমর্থন করে তাদের সবার আগে এর পরিণতি পুরোপুরি বুঝতে হবে।” বিহারে সোমবার প্রকাশিত হয়েছে জাতি ভিত্তিক জনগণনা ফলাফল। এরপরই এই জন গণনাকে সমর্থন জানিয়ে রাহুল গান্ধী সোমবার জানান, “জাতিগতভাবে যে জাতির জনসংখ্যা যত বেশি হবে, তার তত বেশি অধিকার থাকা উচিত।” রাহুলের সেই মন্তব্যের পাল্টা সিংভির এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। একইসঙ্গে প্রকাশ্যে রাহুলের মন্তব্যের বিরোধিতায় কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

উল্লেখ্য, সোমবার বিহারে প্রকাশিত জাতি ভিত্তিক জনগণনার রিপোর্টে দেখা গেছে, বিহারের ৬৩ শতাংশ বাসিন্দাই অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত অর্থাৎ ওবিসি। এছাড়াও তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ১৯ শতাংশ জনতা এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত মাত্র ১.৬৮ শতাংশ। এবং উচ্চবর্ণের সম্প্রদায়ভুক্ত ১৫.৫২ শতাংশ।

জাতিগত জনগননার যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিহারের মোট জনসংখ্যা ১৩ কোটি ৭ লক্ষ ২৫ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে বিহারে ৩৬ শতাংশ অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণি(EBC), ২৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি(OBC), ১৯ শতাংশের সামান্য বেশি তপশিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি উপজাতি জনসংখ্যা রয়েছে। এছাড়া মুখ্যসচিব বিবেক সিং জানান, বিহারে উচ্চবর্ণের হার ১৫.৫২ শতাংশ। ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ, যাদব ১৪ শতাংশ, এবং রাজপুত ৩.৪৫ শতাংশ।
