হরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়(১৮৭৭-১৯৫৬) এদিন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল। ইংরেজি এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনিই প্রথম পিএইচডি। ১৯৩৬-’৪০ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ছিলেন। গণ-পরিষদের স্থায়ী সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৫১-তে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হন। শিক্ষকসুলভ অনাড়ম্বর জীবনযাত্রার জন্য রাজ্যপাল থাকার সময় জনগণের শ্রদ্ধাভাজন হয়েছিলেন।

কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৬১-১৯২৩) এদিন প্রয়াত হন। তিনিই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রথম ভারতীয় ছাত্রী। তিনি ও চন্দ্রমুখী বসু প্রথম ভারতীয় মহিলা গ্র্যাজুয়েট। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারিতে প্রথম মহিলা স্নাতক। ইংল্যান্ডে গিয়ে এফআরসিএস ও ডিএফএস পাশ করেন। কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রথম মহিলা বক্তা। আট সন্তানের জননী হিসেবে সাংসারিক কাজকর্মও করতেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী জ্যোতির্ময়ী ও সাংবাদিক প্রভাতচন্দ্র তাঁরই সন্তানসন্ততি।
১৯৮৯ সালে ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান (১৯৩১-১৯৮৯) এদিন প্রয়াত হন। ভারতীয় যন্ত্রসংগীত ও মার্গসংগীতের প্রচারবিমুখ সুরসাধক। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের শিষ্য ছিলেন। ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত একাধিক ছবি, যেমন ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘গরম হাওয়া’ ইত্যাদিতে সংগীত পরিচালনা করেন। ষোড়শ শতকের তানসেনি ঘরানার ওপর গবেষণা তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তি।
অজয় বসু (১৯২০-২০০৪) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। গত শতাব্দীর ষাট-সত্তরের দশকে রেডিওতে ফুটবল বা ক্রিকেটের ধারাভাষ্য ছিল এক অমোঘ আকর্ষণ। সেখানে অজয় বসুর রাজকীয় ও অনন্য উপস্থিতি। অনন্য এ কারণে নয় যে, তিনি বাংলা ধারাভাষ্যের অন্যতম পথিকৃৎ। সংযমী বাচনভঙ্গি, শব্দচয়ন ও সর্বোপরি তাঁর জাদুমাখা কণ্ঠস্বরের জন্য প্রথিতযশা খেলোয়াড়দের পাশাপাশি তিনিও বাঙালির মনের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। আশির দশকের গোড়ার দিকে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যাপনায় যোগ দেন। সর্বাঙ্গে বাঙালিয়ানার ছাপ, ব্যক্তিত্বে চুম্বকের আকর্ষণশক্তি। এদিয়ে তিনি ছাত্রছাত্রীদেরও মন জয় করে নেন।
শুঁটে ব্যানার্জি (১৯১১-১৯৮০) এদিন কলকাতায় জন্ম নেন। ভাল নাম শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন। টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র একবার। ১৯৪৬-এ ওভালে সারি কাউন্টি ক্লাবের বিরুদ্ধে তিনি শেষ উইকেটে চাঁদু সারওয়াতের সঙ্গে জুটি বেঁধে ২৪৯ রান তোলেন। চাঁদু ১২৪ রান করেন, শুঁটে ১২১ রান করে আউট হয়ে যান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নবম ও দশম ব্যাটসম্যান একই ম্যাচে শত রান করেছেন, এটি একটি বিরলতম ঘটনা।

গোপাল হালদার(১৯০২-১৯৯৩) এদিন পরলোক গমন করেন। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাহিত্যতাত্ত্বিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের অধীনে ভাষাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন। কর্মজীবন কেটেছে ফেনি কলেজে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগে, মডার্ন রিভিউ পত্রিকার সম্পাদকীয় দফতরে ও হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড কাগজের সহ-সম্পাদনায়। রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, উত্তরবঙ্গ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করে।