তিস্তার (Teesta) ভয়াল গ্রাসে কার্যত তছনছ গ্রামের পর গ্রাম। এখনও পর্যন্ত সিকিমে (Sikkim) ঘুরতে গিয়ে ঠিক কতজন নিখোঁজ হয়েছেন তার কোনও খবর নেই। এমন সময়ে এল দুঃসংবাদ। এবার সিকিমে গিয়ে নিখোঁজ বাংলার রায়গঞ্জের (Raigaunge) দুই ভাই-সহ ৩ যুবক। তাঁদের মধ্যে দু’জন রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ার বাসিন্দা ও আরেকজন রাঁচির বাসিন্দা। রায়গঞ্জের বছর তেইশের যুবক স্বর্ণদ্বীপ মজুমদার, তাঁর দাদা শ্রীকান্ত মজুমদার ও তাঁদের বন্ধু রাঁচির বাসিন্দা ঈশান নামে এক যুবকের কোনও খোঁজ মিলছে না।

নিখোঁজ দুই যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থেকে শনিবার বাইক নিয়ে সিকিমের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের। এরপর বুধবার ভোর নাগাদ এই বিপর্যয় নেমে আসে। তাই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সকাল থেকে যুবকের পরিবার থেকে লাগাতার ফোন করা হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁদের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দাবি পরিবারের। লাগাতার মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে উত্তর সিকিমের চুংথাংয়ে দক্ষিণ লোনাক হ্রদের বাঁধ ভেঙে পড়েছে। যার ফলে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে তিস্তা। এদিকে সিকিমের বিপর্যয়ের খবর সকালেই টিভিতে দেখেছেন স্বর্ণদ্বীপের মা। তারপর থেকেই কথা বলার শক্তি হারিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে, আতঙ্কিত স্বর্নদ্বীপের বাবা রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ নিখোঁজদের খোজে তল্লাশি শুরু করেছে।

তবে বিপর্যয় মোকাবিলা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফ থেকে দুটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। নম্বর দুটি হল, ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬/ ১০৭০। পাশাপাশি পর্যটন দফতরের দুটি আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে ১৮০০-২১২- ১৬৫৫/ ৯০৫১৮৮৮১৭১।
