Sunday, May 11, 2025

মীরজাফরের ইন্ধনে টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্র! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গ.র্জে উঠলেন কল্যাণ-সামিরুল

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আর সেই মতোই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন থেকে বাংলার বঞ্চিতদের নিয়েই পথে নামেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিনের মিছিলে কার্যত জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায়। তবে এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অভিষেক মিছিল নিয়ে রাজভবনে (Rajbhawan) পৌছলেও সেখানে ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছেন তিনি। পরে সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল যে ভয় পেয়েই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন এমন অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন রাজভবনের সামনে একে একে ভাষণ দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে যে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল আজ তা রাজভবনের সামনে। এই আন্দোলনের কারিগর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের অধিকারিক জানিয়েছিলেন, বাংলার বিরোধী দলনেতা ও বাংলার বিজেপি সাংসদরা টাকা দিতে বারণ করেছে। তবে বাংলার কিছু ভাঁওতাবাজ, দলবদলুর কথায় একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলার গরিব মানুষের অধিকারের টাকা আটকে রেখেছে। যাদের ভরসায় একুশ সালে ২০০ আসন নিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের কথায় বাংলাকে বঞ্চনা করেছেন মোদি। দিল্লির অলিতে গলিতে মানুষ বলছে, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো এমন আন্দোলন তাঁরা আগে দেখেননি। বিজেপি টাকা আটকে অন্যায় করছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আগে ছিল না, এটা নরেন্দ্র মোদি আমদানি করেছে। যে আওয়াজ তুলবে তার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করতে চাইছে। ভারতবর্ষের বুকে বিজেপি ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দল রাখতে চায় না নরেন্দ্র মোদি। গোটা বিশ্বে এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, এ জন্মে যেন নরেন্দ্র মোদি তার পাপের ফল পায়।

সাংসদ সামিরুল ইসলামের (Samirul Islam) অভিযোগ, বাংলার যে ২০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষ টাকা পাননি তাঁরা তৃণমূল করেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকল গরিবের জন্য এই লড়াই করছে। মোদি সরকার গরিব, তপশিলি, আদিবাসী মানুষের বিরোধী। আর শুভেন্দু অধিকারী বাংলা বিরোধী, হিংসুটে। তাঁর ইন্ধনেই কেন্দ্র টাকা আটকে দিচ্ছে। উনি একজন মিরজাফর। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে লড়ছে। এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, বাংলার গরিব মানুষের হকের টাকা। আমাদের দিল্লির আন্দোলন দেখে মোদি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের মহিলা সাংসদ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের নিগ্রহ করেছে। কিন্তু মোদি ভুলে গিয়েছেন বাংলার মানুষের শরীরে স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্ত আছে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।

 

 

 

spot_img

Related articles

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...

পরিস্থিতি যুদ্ধের থেকে কম নয়: প্রত্যাঘাতের ইঙ্গিত দিয়ে বার্তা তিন সেনাপ্রধানের

দেশের সেনার কাজ শান্তি বজায় রাখা। সেই প্রক্রিয়ায় কেউ অশান্তির চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা কীভাবে জবাব দেবে স্পষ্ট...

কাশ্মীর: ট্রাম্পের মধ্যস্থতা চায় না ভারত, বাণিজ্য নিয়ে ভাবছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট!

একবার দু'পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সংঘর্ষ বিরতির চেষ্টা করলেও বারবার তাঁকে এ বিষয়ে নাক গলাতে দেওয়া হবে না।...

জঙ্গিদের শেষকৃত্যই প্রমাণ কারা মদত দিচ্ছে! নাম না করে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ সেনা আধিকারিকদের

অপারেশন সিন্দুর-এ পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ১০০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।...