Friday, November 7, 2025

মীরজাফরের ইন্ধনে টাকা আটকাচ্ছে কেন্দ্র! মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গ.র্জে উঠলেন কল্যাণ-সামিরুল

Date:

Share post:

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আর সেই মতোই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সদন থেকে বাংলার বঞ্চিতদের নিয়েই পথে নামেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিনের মিছিলে কার্যত জনসমুদ্র লক্ষ্য করা যায়। তবে এদিন অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন দলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে শীর্ষস্থানীয় নেতারা। অভিষেক মিছিল নিয়ে রাজভবনে (Rajbhawan) পৌছলেও সেখানে ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে গিয়েছেন তিনি। পরে সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান রাজ্যপাল বোস। রাজ্যপাল যে ভয় পেয়েই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন এমন অভিযোগ তৃণমূলের। এদিন রাজভবনের সামনে একে একে ভাষণ দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর দিল্লির বুকে যে আন্দোলন সংঘঠিত হয়েছিল আজ তা রাজভবনের সামনে। এই আন্দোলনের কারিগর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের অধিকারিক জানিয়েছিলেন, বাংলার বিরোধী দলনেতা ও বাংলার বিজেপি সাংসদরা টাকা দিতে বারণ করেছে। তবে বাংলার কিছু ভাঁওতাবাজ, দলবদলুর কথায় একজন প্রধানমন্ত্রী বাংলার গরিব মানুষের অধিকারের টাকা আটকে রেখেছে। যাদের ভরসায় একুশ সালে ২০০ আসন নিয়ে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাদের কথায় বাংলাকে বঞ্চনা করেছেন মোদি। দিল্লির অলিতে গলিতে মানুষ বলছে, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো এমন আন্দোলন তাঁরা আগে দেখেননি। বিজেপি টাকা আটকে অন্যায় করছে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আগে ছিল না, এটা নরেন্দ্র মোদি আমদানি করেছে। যে আওয়াজ তুলবে তার বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করতে চাইছে। ভারতবর্ষের বুকে বিজেপি ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক দল রাখতে চায় না নরেন্দ্র মোদি। গোটা বিশ্বে এমন প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনৈতিক নেতা আর নেই। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, এ জন্মে যেন নরেন্দ্র মোদি তার পাপের ফল পায়।

সাংসদ সামিরুল ইসলামের (Samirul Islam) অভিযোগ, বাংলার যে ২০ লক্ষ বঞ্চিত মানুষ টাকা পাননি তাঁরা তৃণমূল করেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকল গরিবের জন্য এই লড়াই করছে। মোদি সরকার গরিব, তপশিলি, আদিবাসী মানুষের বিরোধী। আর শুভেন্দু অধিকারী বাংলা বিরোধী, হিংসুটে। তাঁর ইন্ধনেই কেন্দ্র টাকা আটকে দিচ্ছে। উনি একজন মিরজাফর। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের স্বার্থে লড়ছে। এই টাকা বিজেপির টাকা নয়, বাংলার গরিব মানুষের হকের টাকা। আমাদের দিল্লির আন্দোলন দেখে মোদি সরকার ভয় পেয়েছে। তাই পুলিশ দিয়ে আমাদের মহিলা সাংসদ থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের নিগ্রহ করেছে। কিন্তু মোদি ভুলে গিয়েছেন বাংলার মানুষের শরীরে স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্ত আছে। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না।

 

 

 

spot_img

Related articles

ব্রিটিশ-তোষণে লেখা ‘জন গণ মন’! বিজেপি সাংসদের অপমানজনক মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূলের

ব্রিটিশদের তোষণ করতেই নাকি লেখা হয়েছিল ‘জন গণ মন’। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে এই ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে ফের...

চিংড়িঘাটা মোড়ে যানজট কমাতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ কেএমডিএ-র

ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেএমডিএ। শান্তিনগর খালের উপর বর্তমান সরু...

নামের বানানভুল থেকে ডিটেনশন আতঙ্ক! এসআইআর আতঙ্কে মানসিক চাপে সাঁইথিয়ায় মৃত্যু বৃদ্ধের

ইলামবাজারের ঘটনার পর ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু বীরভূমে। হৃদরোগে প্রয়াত হলেন সাঁইথিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিমান...

বিহারে প্রথম দফায় অতিরিক্ত ভোটদানে নতুন সমীকরণ! চিন্তায় শাসক শিবির

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটদানের হার নিয়ে রাজনৈতিক চর্চা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবার ১২১টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনী...