গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের রণক্ষেত্র মণিপুর, একাধিক বাড়িতে আগুন, পুড়ল যানবাহন

মুখে যতই দাবি করুক না কেন মণিপুরে(Manipur) শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ কেন্দ্রের মোদি সরকার(Modi Govt)। অশান্তির ৫ মাস পরও মণিপুরের নৃশংস ছবিটা প্রকাশ্যে চলে এলো আরও একবার। মেইতি জনগোষ্ঠীর দুই ছাত্র-ছাত্রীকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় কুকি জনজাতির কয়েক জন অভিযুক্তের গ্রেফতারি ঘিরে নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ইম্ফল উপত্যকা। বৃহস্পতিবার ভোরে ইম্ফল লাগোয়া এলাকায় একাধিক বাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বহু যানবাহনে।

পুলিশ সূত্রের জানা গিয়েছে, রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে ইম্ফল পশ্চিম জেলার পাতসোই থানা এলাকার নিউ কেইথেলাম্বিতে বুধবার দুপুর থেকে নতুন করে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তারই জেরে রাতে হিংসা ছড়ায়। ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বিষ্ণুপুরে দুই মেইতি ছাত্রছাত্রীর খুনের তদন্তে সিবিআই রবিবার চূড়াচাঁদপুর জেলার কুকি এলাকায় গোপনে হানা দিয়ে দুই মহিলা ও দুই পুরুষকে গ্রেফতার করে। দুই নাবালিকাকেও সঙ্গে নিয়ে আসে গুয়াহাটিতে। তার পর থেকেই ওই ৬ জন এবং এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হওয়া আরও এক শিক্ষককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়ার দাবিতে কুকি যৌথ মঞ্চ আইটিএলএফ বিক্ষোভ শুরু করেছে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায়।

সূত্রের খবর, গত ৬ জুলাই থেকে ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুই সশস্ত্র ব্যক্তির সঙ্গে বসে রয়েছেন দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের দেহ পড়ে রয়েছে। ছবি দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ। জানা গিয়েছে কুকিরাই অপহরণ করেছিল ওই দুই পড়ুয়াকে। তবে মেইতি জনগোষ্ঠীর ওই দুই পড়ুয়ার দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেই সূত্রের খবর।