মু.ক্তিপণ চেয়ে বাবাকে ফোন, নিউটাউনে বন্ধুদের হাতেই হা.ড়হিম হ.ত্যাকাণ্ড মেধাবী ছাত্রের!

সাজিদের বাবা মোক্তার হোসেন বড় ব্যবসায়ী। মেধাবী ছাত্র সাজিদ নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিউটাউনের একটি প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হয়েছিল। ৬ মাস আগে কলকাতায় এসে মহিষ বাথান এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সে একাই থাকত

মুক্তিপণের দাবিতে বন্ধুদের হাতেই বন্ধুর নির্মম পরিণতি।নিউটাউনে ছাত্রের হাড়হিম হত্যাকাণ্ড। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৪ জনকে আটক করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। মৃত ছাত্রের নাম সাজিদ হোসেন। বয়স ১৯। বাড়ি মালদা জেলার কালিয়াচক থানার ষোলো মাইল এলাকায়। অত্যন্ত মেধাবী ছিল এই ছাত্র। আজ, শুক্রবার সকালে তারুলিয়ায় বন্ধুর বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। খাটের নীচে সুটকেসে উদ্ধার হয় পড়ুয়ার দেহ।

আরও পড়ুনঃ ‘পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ রয়েছে আমার’, বিএফসির কাছে ম‍্যাচ হারের পর বললেন কুয়াদ্রাত

জানা গিয়েছে, নিট প্রস্তুতি নিতেই মালদা থেকে কলকাতায় পড়াশোনা করতে আসে মেধাবী সাজিদ হোসেন।মহিষবাথানে গত ৬ মাস ধরে সে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একাই থাকছিল। সাজিদের দামি আই ফোন, গ্যাজেট হাইলাইফ স্টাইল দেখে বন্ধুদের ধারণা হয় প্রচুর পয়সা রয়েছে তার কাছে। এরপর বন্ধুরা গতকাল, বৃহস্পতিবার সাজিদের ফোন থেকেই তার বাবার কাছে একাধিকবার ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

সাজিদের বাবা মোক্তার হোসেন বড় ব্যবসায়ী। মেধাবী ছাত্র সাজিদ নিট পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নিউটাউনের একটি প্রাইভেট কলেজে ভর্তি হয়েছিল। ৬ মাস আগে কলকাতায় এসে মহিষ বাথান এলাকার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে সে একাই থাকত। এই ফ্ল্যাটের ঠিক নিচে গৌতমের ফাস্ট ফুডের দোকান। সেখান থেকেই আলাপ ও পরে বন্ধুত্ব। সাজিদের হাই লাইফ স্টাইল, হাতে আই ফোন, সঙ্গে থাকা বহুমূল্য গ্যাজেট এবং তার মোবাইলে পেমেন্ট অ্যাপে বাড়ি থেকে পাঠানো প্রচুর অঙ্কের টাকা তাকে গৌতম ও তার বন্ধুদের কাছে সাজিদকে টার্গেট করে তুলেছিল।

ঘটনার রাতে সাজিদের কাছে বাবার পাঠানো মোটা টাকার ট্রানজাকশন দেখতে পায় গৌতম। সেই সময় সাজিদ গৌতমের বাড়িতেই পার্টি করতে গিয়েছিল। সেই টাকা চাওয়া হয়। রাজি না হলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর জোর করে সেলোটেপ দিয়ে মুখ নাক বেঁধে তোলা হয় স্টিল ছবি। সূত্রের খবর, মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে খুন। তারপরে মুখে সেলোটেপ জড়িয়ে দেয় মৃত্যু নিশ্চিত করতেই। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার গৌতমের।

পুলিশের দাবি, মুক্তিপণ চাওয়ার আগেই খুন। এই ঘটনায় আটক ৬ জন, ৪ বন্ধু ও ২ বান্ধবী। অভিযুক্ত গৌতম ৩টি ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছিল। যেখানে বন্ধুদেরকে নিয়ে নিয়মিত ফূর্তি করত সে।