“চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত চলবে লড়া.ই”, অবস্থান মঞ্চে একসুর শশী-স্নেহাশিসের গলায়

শনিবারই কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শশী পাঁজা বলেন, আমরা খুব খুশি আপনি আজ এসেছেন। দয়া করে একবার ধর্না মঞ্চে আসুন। আপনাকে বাংলায় আসার জন্য স্বাগত।

শনিবারই মোদি সরকারের (Modi Govt) নির্দেশে দিল্লি থেকে তড়িঘড়ি কলকাতায় উড়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। মন থেকে না চাইলেও মোদি সরকারের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর কলকাতায় আগমনকে ‘নৈতিক জয়’ হিসাবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শনিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে বিগত ৩ দিন ধরে চলা অবস্থান মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja)। এদিন মন্ত্রী বলেন, দিল্লি ভয় পেয়েছে। আর সেকারণেই বাধ্য হয়ে কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শশীর অভিযোগ, দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে কৃষি ভবনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার কথা বললেও দেখা দেখা করেননি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে শনিবারই কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। শশী পাঁজা বলেন, আমরা খুব খুশি আপনি আজ এসেছেন। দয়া করে একবার ধর্না মঞ্চে আসুন। আপনাকে বাংলায় আসার জন্য স্বাগত। পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্মম ও অমানবিক বলে কটাক্ষ করে শশী বলেন, বাংলার মানুষের চোখের জল মুছিয়ে প্রত্যাশা পূরণের পথ সুগম করেছেন অভিষেক। ১০০ দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলার মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও এদিন উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ফারাক বোঝালেন শশী। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। শশী পাঁজা এরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করে বলেন, আমাদের ৩ জনের প্রতিনিধি দল দার্জিলিংয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন। উনি দিল্লি থেকে এসে দেখা করবেন। উনি বলছেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। সত্যি কী তাই? নাকি ভয় পেয়ে দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি? তবে বক্তব্যের শেষ শশী সাফ জানান, আমাদের আন্দোলন অব্যহত থাকবে। নেতৃত্ব যেভাবে বলবে আমরা আগামীদিনে সেভাবেই চলব।

অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehashis Chakraborty) জানান, নেতা সেই যিনি স্বপ্ন দেখান এবং তাকে বাস্তবায়ন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নেতা। যাঁর নেতৃত্বে আমরা বাংলার গরিব বঞ্চিত মানুষের হকের টাকা আদায়ে দিল্লি গিয়েছিলাম। এই লড়াই আন্দোলনে আজ হাজার হাজার মানুষ তাঁর ডাকে আসছেন। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে এমন একটাও নেতা পাবেন না, যিনি রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের কথা বলছেন। এই বয়সে যে আন্দোলন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাচ্ছেন, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পঞ্চায়েতের আগে নবজোয়ারে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন অভিষেক। সেই ধারা অব্যহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, ২০১১ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের ভোট বেড়েছে। আর যতবার মানুষের সমর্থন আমাদের প্রতি বেড়েছে, ততবার আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস একজোট হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী এরপরই অভিযোগ তোলেন, নীরব মোদির মতো বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করে বিদেশে পালিয়েছে। আর গরিব মানুষের টাকা দিয়ে সেটা ব্যালান্স করার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি। ওই ব্যবসায়ীরা বিজেপির পার্টি ফান্ডে কত টাকা দিয়েছে, তার তদন্ত হওয়া দরকার। ইডি-সিবিআইকে হাসির খোরাক করে তুলেছে বিজেপি। চব্বিশের লোকসভা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।