গাজা-ইজরায়েল সংঘা.তে ৫০০ ছাড়াল মৃ.তের সংখ্যা! দ্রুত হামাসকে ‘অকেজো’ করার হুঁ.শিয়ারি নেতানিয়াহুর

তবে ইজরায়েলে হামাস জঙ্গিদের এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলি। এদিকে, রবিবার ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ।

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল, সেটার ফল হিসেবে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ইজরায়েল (Israel) ও প্যালেস্টাইনে (Palestine)। শনিবার সকালে গাজা ভূখণ্ড থেকে রকেট হানার পর ভূমি, জল ও আকাশপথে ইজরায়েলে আক্রমণ চালিয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস (Hamas)। ইতিমধ্যেই ৩০০-র বেশি ইজরায়েলির মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। আর এমন আবহে পাল্টা হুঙ্কার দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তাঁর হুঁশিয়ারি গাজা শহরের যেখানে হামাস জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, সেই সব অঞ্চল খুব শীঘ্রই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। এর মধ্যে ইজরায়েলের পাল্টা আঘাতে গাজায় কমপক্ষে ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই যুদ্ধ যে ভয়াবহ রূপ নেবে, ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যু ও আহতের পরিমাণ যে বাড়বে, তার আশঙ্কা ছিলই। তবে ইজরায়েলে হামাস জঙ্গিদের এই হামলাকে বর্বরোচিত বলে তীব্র নিন্দা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলি। এদিকে, রবিবার ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন মিলিয়ে প্রায় ৫০০ মানুষ নিহত হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, রাশিয়াও এই হামলার নিন্দা করেছে। তবে সরাসরি প্যালেস্টাইনি সেনার পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান। ইরান সাফ জানিয়েছে, প্যালেস্টাইন ও জেরুজালেমের এই লড়াইয়ে তারা প্যালেস্টাইনের পাশে রয়েছে।

শনিবার ভোর সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় হামাসের হামলা। প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে। এরপরই আচমকা কয়েকশো হামাস জঙ্গি ইজরায়েলে ঢুকে বহু মানুষকে পণবন্দি করার কথা জানা গিয়েছে। রেহাই মেলেনি বিদেশিদেরও। দিনটাকে ‘কালো দিন’ বলে বর্ণনা করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি সাফ জানিয়েছেন, তাঁর সেনা সর্বশক্তি প্রয়োগ করে পাল্টা আঘাতে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে অকেজো করবেই। নেতানিয়াহু আরও জানান, আমরা ওদের তিক্ততার শেষ পর্যায় পর্যন্ত আঘাত করব। ইজরায়েল ও তার জনগণের উপর তারা যে কালো দিনটি নামিয়ে এনেছে তার প্রতিশোধ নেব। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইজরায়েলে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সেখানে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সতর্কতা অবলম্বনের আর্জি জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে নিরাপত্তার প্রোটোকলগুলি সঠিকভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সকলেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।

ইজরায়েল দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের এলাকাগুলিতে সাইরেন বাজিয়ে স্থানীয়দের রকেট হামলার জন্য আগাম সতর্ক করে দেয়। বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলির কাছাকাছি থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। রকেট হামলার সময়ে জেরুজালেমেও সাইরেন বাজানো হয়েছিল। আক্রমণের পরে হামাস স্বীকার করে, তারাই রকেট ছুড়েছে। হামাস বলেছিল- তারা দখলদার ইজরায়েলের সব রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য তারা অপারেশন আল আকসা ফ্লাড ঘোষণা করেছে।

 

 

 

Previous articleধ.র্নায় অনড় অভিষেক, ‘চাপে পড়ে’ পাহাড় থেকে তড়িঘড়ি কলকাতা ফিরছেন রাজ্যপাল
Next article রাহুলের বিতর্কিত পোস্টার নিয়ে নাড্ডা-মালব্যর বিরুদ্ধে আদালতে কংগ্রেস