আজ কোন কোন ঘটনা ঘটেছিল?

চে গুয়েভরা  ১৯৬৭  সালে আজকের দিনে ধরা পড়েন। কিউবার মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম নেতা ও লাতিন আমেরিকার বুকে গেরিলা বাহিনী গড়ে তোলা এই বিপ্লবীর আসল নাম ছিল আর্নেস্তো গুয়েভরা দে লা সেরনা। জন্ম আর্জেন্টিনায়। ধরা পড়ার পরের দিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর বলিভিয়াতে তাঁকে গুলি করে মারা হয়।

১৮৭১ শিকাগোতে এদিন ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড ঘটে। প্যাট্রিক ও ক্যাথরিন ও’লিয়ারির গোলা থেকে আগুন ছড়ায় গোটা শহরে। জনশ্রুতি অনুসারে শ্রীমতী ক্যাথরিনের খামারে সেদিন একদল লোক জুয়ো খেলছিল। তারাই অন্যমনস্ক হয়ে একটা লন্ঠন উলটে ফেলে। সেই লন্ঠনে ধাক্কা খেয়ে হোঁচট খায় খামারের একটা গোরু। তারই জেরে শহরে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। আগুন নিভতে দু’দিন লেগে যায়। মারা যান প্রায় তিনশো লোক।

১৮৬২ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ (১৮৬২-১৯৭২) এদিন ত্রিপুরার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীত জগতের এক প্রতিভাধর পুরুষ। ‘সেনী ঘরানা’র সংগীতসুধাকে তিনিই রাজদরবার থেকে বন্ধনমুক্ত করে জনগণের দরবারে নিয়ে আসেন। ১৯৫৮-তে পদ্মভূষণ লাভ করেন। ১৯৬১-তে বিশ্বভারতী তাঁকে দেশিকোত্তম প্রদান করে। মাইহারে সারদেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে রোজ সেখানে পূজা-অর্চনা ও ধ্যান-প্রাণায়াম করতেন।

১৯৩৬ মুন্সি প্রেমচাঁদ (১৮৮০– ১৯৩৬) এদিন প্রয়াত হন। হিন্দি ভাষার এই বিশিষ্ট সাহিত্যিকের আসল নাম ধনপত রাই শ্রীবাস্তব। প্রেমচাঁদের সাড়া জাগানো উপন্যাসগুলির মধ্যে রয়েছে ‘গোদান’, ‘কর্মভূমি’, ‘ইদগাহ’ প্রভৃতি। উপন্যাসের পাশাপাশি হিন্দি ছোটগল্পেরও তিনি ছিলেন রূপদক্ষ স্রষ্টা।

১৮৯২ ভূপেন্দ্রকুমার দত্ত (১৮৯২-১৯৭৯) এদিন যশোরে জন্মগ্রহণ করেন। বিপ্লবী যুগান্তর দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। বাঘাযতীনের সংস্পর্শে আসেন। ১৯১৭ সালে গ্রেপ্তার হন। জেলে ৭৮ দিন অনশন করেন। পরে ছাড়া পেয়ে নাগপুরে কংগ্রেসের অধিবেশনে গান্ধীজির সঙ্গে আলোচনা করে কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে ফের কারারুদ্ধ হন। আট বছর জেলে কাটান। দেশবিভাগের পর পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নেন। সেখানকার পার্লামেন্টের সদস্যও হন। ১৯৬১-তে ভারতে প্রত্যাবর্তন এবং প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে অবসরগ্রহণ। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘বিপ্লবের পদচিহ্ন’, ‘ইন্ডিয়ান রেভলিউশন অ্যান্ড দ্য কনস্ট্রাকটিভ প্রোগ্রাম’ ইত্যাদি।

১৯৭৯ জয়প্রকাশ নারায়ণ (১৯০২-১৯৭৯) এদিন প্রয়াত হন। শ্রদ্ধেয় প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা। তিনি দলহীন গণতন্ত্রে এক ভাবুক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। কংগ্রেস-বিরোধী দলগুলোকে বলেছিলেন, হয় ওরা এক দল হয়ে নির্বাচন লড়বে, তা না হলে আমি ওদের সঙ্গে নেই। বিরোধী দলের ধর্মপিতা ছিলেন তিনি। তাঁর হুমকিতে কাজ হয়েছিল। চরণ সিংহ, মোরারজি দেশাই থেকে বাজপেয়ী, আডবাণী— সব এক মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। পরিণতিতে ১৯৭৭-এ ভারতে প্রথম অকংগ্রেসি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল।

১৯৩২ এ-দিন ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এটির নাম ছিল রয়্যাল এয়ার ফোর্স। এ জন্য প্রতি বছর ৮ অক্টোবর পালিত হয় ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস। এই বছর ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF) ৮৯তম বায়ুসেনা দিবস পালন করছে। দেশের বিভিন্ন শক্তিশালী যুদ্ধবিমান আকাশে নানা কসরত দেখায় এই দিনে। দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদে হিন্দানে এয়ার ফোর্স স্টেশনে পালিত হয় এই দিবস। ১৯৫০ সাল থেকে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে চারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এ ছাড়া অপারেশন বিজয়, অপারেশন মেঘদূত, অপারেশন ক্যাকটাস এবং অপারেশন পুমালাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে অংশ গ্রহণ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা অভিযানের সঙ্গেও যুক্ত আছে ভারতীয় বিমানবাহিনী।

 

২০২০ সমুদ্রবিজ্ঞানী তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় (১৯৩৮-২০২০) দশদিন করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের পর এদিন প্রয়াত হন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। রাজ্যে সাক্ষরতার প্রসারে একেবারে সামনের সারিতে তাঁকে দেখা যেত।

Previous articleফিরহাদ হাকিমের পর মদন মিত্রের বাড়িতে CBI!
Next article‘চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া’, বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে বললেন কামিন্স