লিঙ্গবৈষম্যের শিকার, BJP শাসিত পুদুচেরিতে ইস্তফা একমাত্র মহিলা মন্ত্রীর

একদিকে দেশে যখন পাশ হচ্ছে মহিলা সংরক্ষণ বিল, অন্যদিকে তখন লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগে পদত্যাগ করছেন বিজেপি শাসিত পুদুচেরির মহিলা মন্ত্রী। দীর্ঘ ৪০ বছর পর প্রথম কোনও মহিলা মন্ত্রী হয়েছিলেন বিজেপি(BJP) শাসিত পুদুচেরিতে(Puducherry)। তবে ২ বছর পার হওয়ার আগেই ইস্তফা দিতে হল তাঁকে। পুদুচেরির ওই মহিলা মন্ত্রীর নাম চন্দিরা প্রিয়াঙ্গা(Chandira Priyanga)। তাঁর অভিযোগ মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মন্ত্রিসভার অন্দরেই লাগাতার লিঙ্গবৈষম্যের শিকার। এমনকি তিনি জাতিবিদ্বেষেরও শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নরেদ্র মোদি সরকারের ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ আইনের বাস্তবায়ন নিয়ে।

পুদুচেরির তফসিলি উন্নয়ন, পরিবহণ এবং শিল্প-সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তফসিলি জাতিভুক্ত প্রিয়াঙ্গা। নিজের ইস্তফা প্রসঙ্গে নিজের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে লাগাতার জাতি এবং লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। সবকিছুর একটা সীমা থাকে। সীমা পেরিয়ে গেলে সহ্য করা যায় না।” নিজের এই ইস্তফাপত্র মুখ্যমন্ত্রী এন আর রঙ্গস্বামীকে(NR Rangaswamy) পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্গা। বিসয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে রাজ্যে খোদ মন্ত্রিসভায় মহিলা মন্ত্রীকে হেনস্তা করা হচ্ছে, সেখানে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের পক্ষে সওয়াল করছেন, তখন তাঁর দলেরই সরকারে মহিলা মন্ত্রীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।

২০২১ সালে বিজেপি (BJP) এবং অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেস জোট পুদুচেরিতে সরকার গঠন করে। সেসময় প্রিয়াঙ্গাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তফসিলি উন্নয়ন, পরিবহণ এবং শিল্প-সংস্কৃতি দফতরের। তবে প্রিয়াঙ্গার অভিযোগ, গত দু বছরে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী রঙ্গস্বামী সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, মেজাজও হারান তিনি।

Previous articleমহালয়াতেই সূর্যগ্রহণ: দেশে দেখা যাবে কি?
Next articleজমজমাট জন্মদিন: খালি পায়েই ভক্তদের দর্শন ‘শাহেনশা’র!