আজকের দিনে কী কী হয়েছিল?

বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিন। একবার সংবাদপত্রে একটি বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল। বিজ্ঞাপনটি একটি ফিল্ম ম্যাগাজিনের। প্রকাশনা জগতে ম্যাগাজিনটির আবির্ভাবের আগাম বার্তার ঘোষণাই ছিল বিজ্ঞাপনটির উদ্দেশ্য। তাতে একটি বাক্য ছিল— যার বাংলা তর্জমা করলে এরকম দাঁড়ায় : বড় হয়ে আমি অমিতাভ বচ্চন হতে চাই। খুব স্পষ্ট ও সরল একটি বাক্য। অর্থটি স্বচ্ছতর। আমি সফল হতে চাই। কার মতো সফল? না, অমিতাভ বচ্চনের মতো। অমিতাভ বচ্চন একটি সাধারণ চেহারার দীর্ঘ উচ্চতার মানুষ, যিনি ধীরে ধীরে একটা প্রজন্মের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। দাপটের সঙ্গে বিনোদনের জগতে নিজেকে শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ১৯৮৪ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী, ২০০১ সালে পদ্মভূষণ এবং ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ। ২০০৭ সালে ফরাসি সরকার তাঁকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা লেজিওঁ দ্য অনর উপাধিতে ভূষিত করে।

২০১২ এদিন থেকে প্রতি বছর ১১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক শিশুকন্যা দিবস পালন শুরু হয়। প্রধান উদ্দেশ্য লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ। পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের পরিপুষ্টি, তাদের আইনি সহায়তা ও ন্যায় পাওয়ার অধিকারদান, চিকিৎসার সুবিধা প্রদান, হিংসার হাত থেকে রক্ষা করা এবং বাল্যবিবাহ রোধের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা এই দিনটি পালনের বিশেষ উদ্দেশ্য হিসেবে স্বীকৃত।

১৬৪৯ অলিভার ক্রোমওয়েল এদিন ওয়েক্সফোর্ডে হাজার হাজার সামরিক ও অসামরিক আইরিশকে হত্যা করেন। আয়ারল্যান্ডের সমুদ্র সীমায় ঝুঁকে পড়েছিল ব্রিটিশ জাহাজ। তাই সেগুলোর ওপর আক্রমণ চালায় বিদ্রোহী ক্যাথলিক সেনা। আশি জন প্রোটেস্ট্যান্টকে ওই জাহাজগুলো সুদ্ধ তারা ডুবিয়ে মারে। তারই শোধ তুলতে অলিভারের এই গণহত্যার আয়োজন। পরে ক্রোমওয়েল দাবি করেন বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ চালানোর আদেশ তিনি দেননি। তবে ব্রিটিশ সেনাকে সংযত থাকার কোনও বার্তা তিনি দিয়েছিলেন, এমন দাবিও তিনি করেননি। ওয়েক্সফোর্ডের হত্যালীলা তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে রক্তের দাগ লাগিয়েছিল।

১৭৩৭ এদিনের ঝড়ে কলকাতার মূলত উত্তর ভাগ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৪০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের ফলে গঙ্গায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রচুর জাহাজ, জলযান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছরের আমপান উসকে দিয়েছিল ২৮৩ বছরের পুরনো সেই স্মৃতি। ১৭৩৭ সালের ১১ অক্টোবর রাতে যে পথে ঘূর্ণিঝড় সাগর থেকে কলকাতার দিকে বয়ে এসেছিল, ২০২০-র আমপানের গতিপথের সঙ্গে তার বহু মিল দেখতে পেয়েছেন গবেষকেরা।

১৯০২ জয়প্রকাশ নারায়ণ (১৯০২-১৯৭৯) এদিন উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের প্রাণপুরুষ ছিলেন তিনি। ১৯৭৭-এ কেন্দ্রে প্রথম কংগ্রেসি সরকার গঠনের পর্বে জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো দলহীন গণতন্ত্রে এক ভাবুক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সেদিন জয়প্রকাশ বলেছিলেন, হয় ওরা এক দল হয়ে নির্বাচন লড়বে, তা না হলে আমি ওদের সঙ্গে নেই। বিরোধী দলের ধর্মপিতা ছিলেন তিনি। তাঁর হুমকিতে কাজ হয়েছিল। চরণ সিংহ, মোরারজি দেশাই থেকে বাজপেয়ী, আডবাণী— সব এক মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছিলেন।

প্রাচ্য বিদ্যার্ণব নগেন্দ্রনাথ বসু (১৮৮৬-১৯৩৬) এদিন প্রয়াত হন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান ‘বিশ্বকোষ’। এশিয়াটিক সোসাইটির সভায় বাংলার বহু ঐতিহাসিক তথ্য সম্পর্কে প্রবন্ধাবলি পাঠ করেন। পরে এগুলি বই আকারে প্রকাশিত হয়। তাঁর ব্যক্তিগত পুঁথি সংগ্রহ সম্বল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ শুরু হয়।

১৯৭৬ বেজিংয়ে গ্রেপ্তার হলেন মাও সে তুং-এর তৃতীয় পত্নী জিয়াং কিং ও তাঁর তিন সহচর। চেয়ারম্যান মাওয়ের মৃত্যুর পর এই দুষ্ট চতুষ্টয় বা ‘গ্যাং অব ফোর’ চিনের যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করে। বন্দিদশায় তিনি বাথরুমে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

 

১৮৭৭ চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৭৭-১৯৩৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার অধ্যাপক ছিলেন। ‘প্রবাসী’তে তাঁর প্রথম ছোট গল্প প্রকাশিত হয়। নাম ‘মরমের কথা’। মৌলিক সাহিত্য রচনার পাশপাশি অনুবাদক হিসেবে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। রবীন্দ্রচর্চা ও গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘রবি রশ্মি’ তাঁকে খ্যাতি দিয়েছিল।

Previous articleইডির ডাকে সাড়া দিয়ে CGO কমপ্লেক্সে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleপুজোর আকাশে বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্ব.স্তি!