গাজা সীমান্তের (Gaza Strip) কাছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের ঘাঁটিতে এবার হানা দিল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (Israel Defence)। গাজা সীমান্তের কাছে সুফা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ২৫০ জনেরও বেশি পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে তারা। এই হামলায় ইতিমধ্যে ৬০ হামাস যোদ্ধা খতম হয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। তবে এই অভিযান ঠিক কবে হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে, গত ৭ অক্টোবর হামাস এই সুফা সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিয়েছিল। ওই দিনই ঘাঁটি পুনরুদ্ধারে সেনা নামিয়েছিল ইজরায়েল। শুক্রবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) এই অভিযানের ভিডিও সামনে আসে।

শুক্রবারই ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ সপ্তম দিনে পড়ল। তবে এখনও কোনও পক্ষ থেকেই কোনও শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। উল্টে ইজরায়েল বাহিনীর পক্ষ থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়ছে। আকাশপথে হামলার পাশপাশি, তারা স্থলপথেও যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে গত শনিবার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইজরায়েলে কমপক্ষে ১,২০০ জন এবং গাজা উপত্যকায় ১,৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ইজরায়েলি ভূমিতে ১৫০০ হামাস সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েল সরকার। পাশাপাশি এবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে থাকা সব প্যালেস্তাইনিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিল ইজরায়েল। সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রসংঘকে একথা জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপ গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও বেদনাদায়ক পরিস্থিতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। গত ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্ত পেরিয়ে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরায়েলও পালটা জবাবি হামলা চালিয়েছে। তাতে গাজায় মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
