Saturday, August 23, 2025
অশোককুমার

১৯১১

অশোককুমারের (১৯১১-২০০১) জন্মদিবস। বিখ্যাত অভিনেতা। সংগীতশিল্পী কিশোরকুমারের দাদা। আসল নাম কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়। বাড়িতে তাঁকে দাদামণি নামে ডাকা হত। আশির দশক। রাজ কাপুর ও শাম্মি কাপুর বম্বে এয়ারপোর্টে এসেছেন বিমান ধরতে। দুই ভাইকে দেখে জনতা উদ্বেল। কান ফাটানো চিৎকার। রাজ যেন একটু বেশিই চুপ। শাম্মিও লক্ষ্য করেছিলেন। প্লেন উড়তে শুরু করতেই প্রশ্নটা করলেন তিনি— ‘‘কিসি বাত সে পড়েশান হো আপ?’’ রাজ ধীরে ধীরে বললেন, ‘‘কত কিছু শেখালাম তোমাকে। সোনার মতো কেরিয়ার পেলে তুমি! ওই পান মশলার বিজ্ঞাপনটা কি না করলেই চলছিল না তোমার?’’ শাম্মি টকটকে লাল মুখ করে বললেন, ‘‘একবার দাদামণির সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে চেয়েছিলাম আমি।’’ উত্তর শুনে রাজ আরও হতভম্ব হয়ে গেলেন। ঠিক এমনই হতভম্ব তিনি হয়েছিলেন চল্লিশ বছর আগে। সেদিন ছিল তাঁর বিয়ে। ঘোমটা ঢাকা সলাজ নববধূকে সঙ্গে নিয়ে স্টেজে দাঁড়িয়ে ইন্ডাস্ট্রির গণ্যমান্যদের আশীর্বাদ নিচ্ছিলেন। তার পরে পৃথ্বীরাজ কাপুরের বড় ছেলের বিয়েতে ঢুকলেন বম্বে টকিজ়ের এক নম্বর স্টার অশোককুমার। তাঁকে দেখামাত্র নতুন বউ কৃষ্ণা ঘোমটা সরিয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘‘আরে, অশোককুমার! আমি ‘কিসমত’ তিনবার দেখেছি। আর ‘অচ্ছুৎ কন্যা’ আমার দেখা প্রথম ফিল্ম।’’ অশোককুমার তখন হো হো করে হাসছেন। সেই দাদামণি অশোককুমারের থেকে বলিউড অনেক কিছু শিখেছে। হিরোদের নামকরণ। দিলীপকুমার, রাজেন্দ্রকুমার হয়ে অক্ষয়কুমার অবধি। কিশোরকুমার শিখেছেন ‘এক চতুর নার’ গানটি। আর তাঁর ম্যানারিজ়মকে পুঁজি করে আজও সংসার চালাচ্ছে কত হাজার মিমিক্রি শিল্পী। আর সেসব দেখে তালি বাজিয়েই চলেছি আমরা, ‘হমলোগ’।

ভগিনী নিবেদিতা

১৯১১

ভগিনী নিবেদিতার (১৮৬৭-১৯১১) তিরোধান দিবস। ভারতের মঙ্গলে নিবেদিত প্রাণ এই বিদেশিনি রোগমুক্তির আশায় দার্জিলিংয়ে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ও অবলা বসুর আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। সেখানেই তিনি মারা যান। আসল নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। স্বামী বিবেকানন্দ তাঁকে ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত করে নাম রেখেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। ১৮৯৮-তে ভারতে এসেছিলেন। সে সময় কলকাতায় পর পর দু’বছর প্লেগ হলে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সেবার কাজে ব্রতী হন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গেও জড়িয়েছিলেন।

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়

১৯৮৩

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (১৯৩৩-১৯৮৩) মৃত্যুদিন। বিদেশি নাটক তাঁর ছোঁয়ায় হয়ে উঠত বাংলার নিজস্ব নাটক। ব্রেখট, ইবসেন, চেখভ, পিরানদেল্লো, ওয়েস্কার, পিন্টার— বিশ্ব নাট্যমানচিত্রের এই সব স্থপতির সঙ্গে বাঙালির পরিচয় অজিতেশের হাত ধরে। বঙ্গীয়করণ করে তিনি উপস্থাপন করতেন মঞ্চে। গ্রুপ থিয়েটার, পেশাদারি মঞ্চ, চলচ্চিত্র, যাত্রা— সব কিছুতেই বিরাট চেহারার অজিতেশ অভিনেতা হিসেবে নিজের মর্ত্যসীমা অতিক্রম করেছিলেন।

১৯৯১

স্টার থিয়েটার বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়। স্টার ও মিনার্ভা থিয়েটার হল কলকাতার দুটি সবচেয়ে পুরনো বাণিজ্যিক নাট্যমঞ্চ। স্টার, মিনার্ভা ও ক্লাসিক থিয়েটারে হীরালাল সেন নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। স্টার থিয়েটার ভবনটি কলকাতার একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। ২০০০-এর দশকে কলকাতা পুরসংস্থা বাড়িটি সারিয়ে আবার নাট্যমঞ্চটি চালু করে।

প্রতিভা বসু

২০০৬

প্রতিভা বসু (১৯১৫-২০০৬) এদিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত হয় ও ব্যাপক সফলতা পায়। তার মধ্যে রয়েছে আলো আমার আলো, পথে হল দেরি, অতল জলের আহ্বান ইত্যাদি বেশ কিছু ছবি নির্মিত হয়। বাংলা ভাষায় অনন্য অবদানের জন্য প্রতিভা বসু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ-ছাড়াও, সাহিত্যকর্মে সবিশেষ অবদানের জন্য তিনি আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন।

ইলা মিত্র

২০০২

ইলা মিত্র (১৯২৫-২০০২) এদিন প্রয়াত হন। সংগ্রামী কৃষক নেতা। মূলত তেভাগা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। বাংলার শোষিত ও বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। তিনিই প্রথম বাঙালি মেয়ে যিনি ১৯৪০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক বাতিল হয়ে যাওয়ায় তাঁর অংশগ্রহণ করা হয়নি। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী।

কিশোরকুমার

১৯৮৭

কিশোরকুমার (১৯২৯-১৯৮৭) এদিন চিরদিনের জন্য সুরলোকে গমন করেন। আসল নাম আভাষকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ গানটি জীবদ্দশায় মুক্তি পায়নি। মৃত্যুর পর, ২০১২-তে নিলামে সেটির দাম হয়েছিল ১৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, এমনই বিপুল জনপ্রিয়তা তাঁর। গান গাওয়া, গান লেখা, সংগীত পরিচালনা, এসবের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন বহু ছবিতে। অভিনেতা হিসেবে তাঁকে পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছে ‘চলতি কা নাম জিন্দেগি’ ছবিতে।

 

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version