আজকের দিনে কী কী হয়েছিল? ‌এক ঝলক

সাঁই বাবা

১৯১৮
শিরডির সাঁইবাবা (১৮৩৫-১৯১৮) এদিন দেহত্যাগ করেন। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ভক্তরাই তাঁকে সন্ত আখ্যা দিয়েছিলেন। হিন্দু ভক্তরা তাঁকে দত্তাত্রেয়ের অবতার মনে করতেন। অনেক ভক্তের মতে, তিনি ছিলেন সদ্গুরু, সুফি পির বা কুতুব। সাঁইবাবা পার্থিব বস্তুর প্রতি আগ্রহী ছিলেন না। তাঁর একমাত্র চিন্তা ছিল আত্ম-উপলব্ধি। তিনি ভালবাসা, ক্ষমা, পরস্পরকে সহায়তা, দান, সন্তুষ্টি, আন্তরিক শান্তি ও ঈশ্বর ও গুরুর প্রতি ভক্তির শিক্ষা দিতেন। তাঁর শিক্ষার উপাদান সংগৃহীত হয়েছিল হিন্দু ও ইসলাম উভয় ধর্ম থেকেই। তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘সবকা মালিক এক’।

এ পি জে আব্দুল কালাম

১৯৩১ এ পি জে আবদুল কালাম
(১৯৩১-২০১৫) এদিন রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা জইনুল আবদিন, মা আশিয়াম্মা। ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সালে কালাম তৎকালীন ভারতের শাসক ও বিরোধী উভয় দলের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। লোকে বলত, ‘পিপলস প্রেসিডেন্ট’। পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি পদে আসীন থাকার পর তিনি শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। পাশাপাশি তিনি ‘মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ রূপেও স্বীকৃত। কালাম বিশ্বাস করতেন, তাঁর জন্মভূমি একদিন বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশগুলির অন্যতম হয়ে উঠবে। স্বপ্ন দেখতেন, ভারত ২০২০-র মধ্যে ‘নলেজ সুপারপাওয়ার’ হিসেবে স্বীকৃত হবে। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।

আরও পড়ুনঃ Today’s market price: আজকের বাজারদর

সিদ্ধার্থ ঘোষ

১৯৪৮ সিদ্ধার্থ ঘোষ (১৯৪৮-২০০২) এদিন জন্ম নেন। কল্পবিজ্ঞানের লেখক। আসল নাম অমিতাভ। লেখালেখির জন্য নাম নিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। বিজ্ঞানকে সাধারণের উপযোগী করতে একাধিক বই লিখেছেন। লিখেছেন বহু বিজ্ঞান উপন্যাসও। ফটোগ্রাফিতেও গভীর আগ্রহ ছিল তাঁর।

মাতাহারি

১৯১৭ মাতাহারি (১৮৭৬- ১৯১৭) কে প্যারিসের কাছে হত্যা করল ফরাসিরা। এই ওলন্দাজ সুন্দরী নর্তকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানদের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করতেন।

দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরি

১৯৭৫
দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরি (১৮৯৮-১৯৭৫) এদিন প্রয়াত হন। তাঁর কর্মনৈপুণ্যে পরাধীন দেশে ইউরোপীয় ভাস্করদের একচেটিয়া আধিপত্য ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। মাদ্রাজ আর্ট কলেজে দীর্ঘ ২৮ বছর অধ্যক্ষ পদে ছিলেন। ললিতকলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ছিলেন ৭ বছর। ১৯৫৮-তে পদ্মভূষণ উপাধি পান। কলকাতায় মহাত্মা গান্ধী, স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখের মূর্তি তাঁর তৈরি। এ ছাড়া পাটনায় শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ, মাদ্রাজের ‘ট্রাইয়াম্ফ অফ লেবার’ ইত্যাদি তাঁর ভাস্কর্য শৈলীর স্বাক্ষর বহন করছে।

২০০৮ প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর এদিন থেকে বিশ্ব হাতধোয়া দিবস পালিত হয়ে আসছে। জনগণের মধ্যে হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই দিবসটি পালন করা শুরু হয়। করোনা অতিমারির কারণে দিনটির তাৎপর্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের স্লোগান হল— ‘আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের হাতেই, এসো একসঙ্গে এগোই’।

১৯৩৪ চিনে শুরু হল লং মার্চ। ১০ হাজার মাইল হাঁটা পথে সফর। দক্ষিণ-পূর্ব চিন থেকে কমিউনিস্ট পার্টির বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের ভিত্তি এই মার্চের ফলে সরে এল উত্তর-পশ্চিম চিনে। আর অবিসংবাদী নেতা হিসেবে উঠে এলেন মাও সে তুং।

অতুলচন্দ্র ঘোষ

১৯৬২ অতুলচন্দ্র ঘোষ (১৮৮১-১৯৬২) এদিন প্রয়াত হন। বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী। আইন ব্যাবসা ছেড়ে অসহযোগ, লবণ সত্যাগ্রহ ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৪৭-এ লোকসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করে বিহার সরকারের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক নীতির সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মানভূমে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও পুরুলিয়া জেলার পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুখ্যস্থপতি তিনি। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর জীবদ্দশায় লোকসেবক সংঘ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক লাভ করে।

 

 

 

Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleম.র্মান্তিক, উলুবেড়িয়ায় বাড়িতে আ.গুন লেগে মৃ.ত্যু ৩ জনের