রেশন বন্টন মামলা নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) হাতে। গ্রেফতার হওয়ার আগের দিন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান (Bakibur Rahman) দেশ ছেড়ে দুবাই (Dubai) পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে খবর। যত দিন যাচ্ছে বাকিবুরের একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। এবার বাকিবুরের জোড়া ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেল দুবাইতে। যার দাম ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বলে তদন্তকারীদের ধারণা।
এর আগে বাকিবুরের তিনটি রাইস মিল, দুটি ফ্লাওয়ার মিল, একাধিক হোটেল ও পানশালা, মার্সিডিজ বেঞ্জ, পোর্শের মত বিলাসবহুল গাড়ি-সহ বহু সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁর হোটেল রয়েছে বেঙ্গালুরুতেও। এই বিপুল সম্পত্তির মালিক কীভাবে হয়েছেন বাকিবুর তা নিয়ে তদন্ত চলছে। আর বেগতিক বুঝে দুবাইতে যে জোড়া ফ্ল্যাট রয়েছে বাকিবুরের, সেখানেই কী তিনি পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বাকিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন গ্রেফতার হওয়ার আগের দিনই সপরিবারে দুবাই পালাতে চেয়েছিলেন বাকিবুর।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতিতে বেশ কিছু জায়গায় রেশন বণ্টন নিয়ে অভিযোগ ওঠে। বিপুল টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এরপর গত বছরের এপ্রিলে এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নামে ইডি। আর সেই মামলাতেই গত সপ্তাহে ভোরবেলা থেকে কলকাতা, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনার বারোটি জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। কৈখালিতে বাকিবুরের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটেও শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এছাড়া বাকিবুরের ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। সেই সঙ্গে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর শুক্রবার ভোর রাতে ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বাকিবুরকে গ্রেফতার করে ইডি। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বারো দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে ইডি। এরপরই তাঁকে জেরা করে নানা তথ্য ও একের পর এক সম্পত্তির খোঁজ মিলতে থাকে।