হা.মাসের সদর দফতরে পাল্টা হা.না ইজরায়েলের! গাজার হাসপাতালে লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা

ইজরায়েলি বিমান হামলার ভয়ে গাজা শহরের অন্যতম বড় এই হাসপাতালে হাজার হাজার জখম প্যালেস্তিনীয় নাগরিক ভর্তি ছিলেন। তবে এদিন মুহূর্তের মধ্যে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।

সময় যত গড়াচ্ছে যুদ্ধের পারদ ক্রমশই বাড়ছে গাজায় (Gaza)। আগেই হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীকে সমূলে বিনাশ করার ডাক দিয়েছিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেই মতো এবার গাজায় হামাসের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইজরায়েলি (Israel) বিমানবাহিনী (Airforce)। একইসঙ্গে এই জঙ্গিদের অর্থের মূল ভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত ব্যাঙ্কটিকেও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি ব্যাপটিস্ট হাসপাতালে ইজরায়েলি এয়ার স্ট্রাইকের (Air Strike) জেরে কমপক্ষে ৬০০ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আরও মৃত্যুর আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। ইজরায়েলি বিমান হামলার ভয়ে গাজা শহরের অন্যতম বড় এই হাসপাতালে হাজার হাজার জখম প্যালেস্তিনীয় নাগরিক ভর্তি ছিলেন। তবে এদিন মুহূর্তের মধ্যে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যদিও এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। এদিকে, হামাসকে উৎখাত করতে গাজা অবরোধের সিদ্ধান্ত নেয় ইজরায়েল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ, খাদ্য ও জল। হামাসের সদর দফতর এবং ব্যাঙ্ক ধ্বংসের পাশাপাশি হামাসের একাধিক আস্তানায় বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জঙ্গিদের নিষ্ক্রিয় করতে একাধিক এলাকায় নিক্ষেপ করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রও। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় ফের হামাসের একজন প্রথম সারির নেতার মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ইজরায়েলি বিমানবাহিনী গাজায় ২৫০টি বেশি সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে বলে জানা গিয়েছে।

গাজা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইজরায়েলের হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জন প্যালেস্তাইন নাগরিকের মৃ্ত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ৯ হাজার ৭০০ জন। অন্যদিকে, ২০০ থেকে ২৫০ জন ইজরায়েলি নাগরিককে বন্দি করা হয়েছে। তবে গাজার পাশাপাশি লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি বিমানবাহিনী। জঙ্গি সংগঠন হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

 

 

 

 

Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleযা ঘটেছিল আজকের দিনে, দেখে নিন একনজরে