পুজো অনুদান ন*কল অসমে! বিজেপিকে ঠু*কে কুণাল বললেন জননেত্রীর বাংলার মডেলের জয়

ক্লাবগুলিকে পুজো অনুদান একটি বিজ্ঞান। যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ এতে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়।

ফের একবার প্রমাণিত হল, বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা দেশ তা কাল ভাবে। বাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে কুৎসা, মিথ্যাচার এবার বুমেরাং হল বিজেপির জন্য। একসময় যে বিজেপি বলেতো বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না, এখন তাদেরই শীর্ষ নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)এ রাজ্যের পুজোর উদ্বোধনে আসতে হচ্ছে।

করোনা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সহায়তা করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক বছর ধরেই অনুদান চালু করেছেন। তা নিয়েও রে রে করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীদের। অনুদান আটকাতে আদালতের কড়া পর্যন্ত নেড়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। তবে মুখ পুড়েছে। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মস্তিষ্কপ্রসূত ও দেখানো পথেই হাঁটতে হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসমকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেলকে নকল করে এবার অসমে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মোট ৬৯৫৩টি পুজো কমিটিকে এই টাকা দেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর কথায়, “এতদিন যে সমালোচনা করছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেল চুরির জন্য এখন বিজেপির উচিত আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নাকখত দেওয়া।”

ক্লাবগুলিকে পুজো অনুদান একটি বিজ্ঞান। যা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ এতে আর্থিকভাবে উপকৃত হয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা বিজ্ঞান। পুজো অর্থনীতিকে অক্সিজেন দেওয়া। এটা একটা শৃঙ্খল, যা পুজো অর্থনীতিকে বিকেন্দ্রীকরণ করে।
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের আর্থিক অবস্থাকে চাঙ্গা করে পুজো অর্থনীতি। প্যান্ডেল মালিক থেকে কর্মচারী, মৃৎশিল্পী থেকে ফুলচাষী, কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলে উপকৃত হয় এই পুজো অর্থনীতির মাধ্যমে। বিভিন্ন ভাবে মানুষের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়া একটি বিজ্ঞান। পুজো কমিটিগুলিকে অনুদানের মাধ্যমে অনেকটাই সেই কাজ করেন মুখ্যমন্ত্রী।”

এরপরই বিজেপি শাসিত অসম সরকার ও সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “এখন ওরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মডেল নকল করছে।” কুণালের আরও সংযোজন, “এর আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রকল্পর আশ্বাস বিভিন্ন রাজ্যে দিয়েছে বিভিন্ন দল। কর্ণাটকে কংগ্রেস লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণে প্রকল্প আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু এ রাজ্যের কংগ্রেস সেই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছে। ঠিক একইভাবে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান নিয়ে এ রাজ্যে বিজেপি সমালোচনা করছে আবার অন্য রাজ্যে সেই কাজটাই নকল করছে। এটা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত বাংলার মডেলের জয়।

Previous articleপাড়ার পুজোয় পরিবেশ র*ক্ষার বিশেষ বার্তা মহারাজের!
Next articleহাইকোর্টের বিচারপতি পদে ১৩ জনের নাম সুপারিশ কলেজিয়ামের