কেন কুমারী রূপে পুজো হয় মা দুর্গার? জানেন মাহাত্ম্য

দেবী পুরাণে কুমারী পুজোর স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শাস্ত্রে ১ থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে দেবী হিসেবে পুজোর নির্দেশ রয়েছে। ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকে পুজো করা যেতে পারে। অনেক জায়গায় দুর্গাপুজোর অষ্টমী বা নবমী তিথিতে কুমারী পুজো করা হয়ে থাকে। বেলুড় মঠে অত্যন্ত ধূমধামের সঙ্গে প্রতি বছর কুমারী পুজো হয়।

পুরাকালে মুনিঋষিরা কুমারীর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন। প্রকৃতি অর্থে নারী। সেই প্রকৃতিরই আর এক রূপ হল কুমারী। প্রাচীণকালে মুনি ঋষিরা বিশ্বাস করতেন যে মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বরের প্রভাব। কারণ মানুষের মন চৈতন্যযুক্ত। আর যাঁদের সৎ মন কলুষতামুক্ত, তাঁদের মধ্যে ঈশ্বরের প্রকাশ বেশি। কুমারীদের মধ্যে এই গুণগুলি থাকে বলেই তাদের এই পুজোর দেবী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

বয়স ভেদে কুমারীরা ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত হয়। শ্রীরামকৃষ্ণের কথা অনুসারে, শুদ্ধাত্মা কুমারীর মধ্যে ভগবতী প্রকাশ পান। কুমারী পুজোর মাধ্যমে নারী জাতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মাঠে নয় কুমারীকে পুজো করেন। সেই থেকেই প্রতি বছর দুর্গাপুজোর অষ্টমী তিথিতে বেলুড় মঠে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে।

Previous articleফের হা.মলা গাজায়! লাফিয়ে বাড়ছে মৃ.তের সংখ্যা, হা.মাসের বিরুদ্ধে বি.স্ফোরক ইজরায়েল প্রেসিডেন্ট  
Next articleমেসি-এমবাপের লড়াইকে ছাপিয়ে গেল রোহিত-লাথামদের ম‍্যাচ, গড়ল রেকর্ড