গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ পেয়ে দীর্ঘ চার বছর পর ‘স্বদেশ’ পাকিস্তানে ফিরেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ভোটমুখি পাকিস্তানে চেনা ছন্দে নিজের দলের হয়ে প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে নেমেই পাকিস্তানের (Pakistan) সবথেকে প্রিয় ইস্যু- কাশ্মীর (Kashmir) তুলে ধরলেন তিনি। গত শনিবার লাহোরে প্রথম জনসভাতেই তিনি তুলে ধরলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। জানালেন, “ভারতের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় পাকিস্তান। শান্তিপূর্ণ ও সদার্থকভাবে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান চাই আমরা।”

শুধু তাই নয় ভোটমুখী পাকিস্তানে নয়া সরকারের নীতির কথা তুলে ধরে নওয়াজ শরিফ জানান, “আমরা স্বাধীন বিদেশনীতি চাই। গোটা বিশ্বের সঙ্গে আমরা শান্তিপূর্ণ ও সমতাপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন তকে আমরা পাকিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে চাই। অন্য দেশের সঙ্গে বিবাদ বা সংঘর্ষ করে পাকিস্তান উন্নত দেশে পরিণত হবে না। আমি উন্নয়নে বিশ্বাসী, প্রতিশোধে নয়।”

তবে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে খোলামনে এগোনো, স্বাধীন নীতির কথা বললেও, নওয়াজের এই বক্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ কূটনীতিকরা। তাদের কথায়, সামনেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। কাশ্মীর সবসময়ই পাকিস্তানের আগ্রহের কেন্দ্রে থেকেছে। তাই কারণেই কাশ্মীরের কথা তুলে ভোট কুড়োতে চেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের নরম সুরের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন কূটনৈতিকরা। তাদের মতে, ভারতেও যেহেতু ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে, তাই কাশ্মীর ইস্যু ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে পড়শি দেশের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে পাকিস্তান। নওয়াজের কাশ্মীর নিয়ে নরম সুরের চাল নতুন নয়। এর আগে অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়েও একই বুলি আওড়েছিল পাকিস্তান। তারপরই কার্গিলের যুদ্ধ হয়। ফলে এবারও যে সেই পুরনো চালই দিয়েছেন নওয়াজ, তা স্পষ্ট। এক কথায় বলতে গেলে, এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
