ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় কবিগুরুর শান্তিনিকেতন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর রিয়াধ কনফারেন্সে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। এরপরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উদ্যোগে পুজোর ছুটির আগে ওয়ার্ল্ড ‘হেরিটেজ’ লেখা তিনটি ফলক বসানো হয় শান্তিনিকেতনে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই ফলকে নেই স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম! পরিবর্তে জ্বলজ্বল করছে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম।
এমন ঘটনায় ক্ষোভে পড়েন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, আশ্রমিক ও রবীন্দ্র অনুরাগীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, রবীন্দ্রনাথকে ব্রাত্য করে যে ফলক লাগানো হয়েছে, তা সরানো না হলে আন্দোলন হবে। এদিন শান্তিনিকেতনে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
ফলক-বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা তথা অধ্যাপক অনুপম হাজরা। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আগেও বলেছি এখনও বলছি, নিজের উপাচার্য পদ বাঁচাবার তাগিদে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে গিয়ে এই ওভার-স্মার্ট ভন্ড বিজেপি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিজেপির আরও ক্ষতি করবে।
এবার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যের কাছে তিনি জানতে চান, “গুরুদেব বাংলা, ভারত ও সমগ্র মানবতার কাছে শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার প্রতীক। কেন ফলকে অনুপস্থিত রবীন্দ্রনাথ?” চাপের মুখে পড়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সাফাই ‘ফলক অস্থায়ী’!