অর্থাভাবে পুজো বন্ধের পরিস্থিতি! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় ধনদেবীর আরাধনায় গ্রামের মহিলারা

দুর্গাপুজোর ছবি লক্ষ্মী পুজোতেও। দুর্গাপুজোর আমরা দেখে ছিলাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গ্রামের মহিলারা প্রথমবারের জন্য উমা আরাধনা করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকায়। এবার মা লক্ষ্মীর পুজোর আয়োজন হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে আসা অর্থে।

গলসির মানকরে এলাকার প্রাচীন লক্ষ্মীপুজোর ব্যয়ভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গ্রামের মহিলারা। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জমানো টাকা থেকে পুজোর সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করছেন।

এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা চায়না হালদার বলেন, “মানকর অন্নপূর্ণা তলার এই পুজো ৪০ বছরের পুরনো। একটা সময়ে অর্থের অভাবে পুজো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে পাড়ার মহিলারা দায়িত্ব নিয়ে পুজো শুরু করি। এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ পাওয়ায় পুজোর খরচে সুবিধা হয়েছে।”

উল্লেখ্য, একসময় এখানে ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করা হতো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাইরে থেকে যাত্রা দল আসত। এখন সেসব অতীত। তবে চায়না হালদার, রিমা হালদার, ঝিনুক বাগরা পুজো বন্ধ হতে দেননি। প্রায় ২০ জনেরও বেশি মহিলা সদস্য মিলে পুজো চালু রেখেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “পুজো বন্ধের পরিস্থিতি দেখে আমরা সকলে মহিলাদের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছিলাম। পুজোর বাজেট থেকে পুজোর আয়োজন, সমস্ত কিছু মেয়েরাই করে। নির্দিষ্ট কুপনের বিনিময়ে দেবীর ভোগ খাওয়ানো হয়। এখন আর বাজেট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। কারণ, সারা বছর গ্রামের মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমানো থাকে। সেই টাকা দিয়েই জমকালো পুজোর আয়োজন করা হয়।”

Previous articleএশিয়ান প‍্যারা গেমসেও পদকের সেঞ্চুরি, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
Next articleসমাজমাধ্যমে অ.শ্লীল পোস্ট লাইক করেন? কী বলছে আদালত