দেশজুড়ে কয়লার ঘাটতি মেটাতে দিশেহারা কেন্দ্র, কী নির্দেশ বিদ্যুৎ মন্ত্রকের!

দেশজুড়ে কয়লার ঘাটতি মেটাতে দিশেহারা কেন্দ্রের মোদি সরকার। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির চাহিদার ৬ শতাংশ কয়লা (coal) আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অক্টোবরের প্রথমার্ধ থেকেই এভাবে কয়লার ঘাটতি এই প্রথম।

এবার পরিস্থিতির সামাল দিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে উৎপাদন সংস্থাগুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, দেশীয় কয়লার সঙ্গে আমদানি করা কয়লা (coal) মেশাতে হবে। কেন্দ্রে সাফাই, বিদ্যুৎ-এর চাহিদা লাগাতার বৃদ্ধি এবং সেই তুলনায় কয়লার জোগান কম থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যুৎ আইনের ১১ নম্বর ধারা কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার ১৭ গিগাওয়াটের বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলিকে তাদের পূর্ণ ক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে বলেছে।

প্রথম এই নির্দেশিকা জারি করা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। যদিও তা বাড়িয়ে জুন এবং পরে ফের বাড়িয়ে অক্টোবর করা হয়। এবার ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এই নীতি কার্যকর রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে মোদি সরকার। গত জানুয়ারিতে কয়লার মেশানোর হার কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়। ১ সেপ্টেম্বর তা আরও কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়। সম্প্রতি ফের তা বাড়িয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: এসব লোক দেখানো মাটির নাটক, বিজেপিকে ক.টাক্ষ কুণালের

কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকার সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, দেশীয় বাজারে কয়লা উৎপাদন এবং মজুত পর্যাপ্ত রয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে উৎপাদন সংস্থাগুলিকে কয়লা আমদানি করার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে লাভবান অন্য কেউ নয়, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক গোষ্ঠী।”

Previous articleকুণালের সঙ্গে সাক্ষাতে আশ্বস্ত রাজ্যের গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীরা
Next articleআইনি জ.টিলতা কাটিয়ে ফের শহিদ মিনারে বা.জি বাজার!