পু.ড়েছে শরীরের ৯৫ শতাংশ! কেরল বি.স্ফোরণকাণ্ডে মৃ.ত্যু না.বালিকার

প্রতীকী চিত্র।

কেরলের (Kerala) এর্নাকুলাম জেলার (Ernakulam) কালামাসেরি এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার ভোরে ১২ বছরের এক নাবালিকার মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এই নিয়ে বিস্ফোরণকাণ্ডে মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। দুর্ঘটনায় আহত ৫০ জনেরও বেশি। অন্যদিকে, প্রাথমিক তদন্তের পরই তদন্তকারীদের একাংশ জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য আইইডি (IED) ব্যবহার করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় এনআইএ (NIA)।

পুলিশ সূত্রে খবর নিহত নাবালিকার নাম লিবিনা। বিস্ফোরণের জেরে তার শরীরের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল বলে খবর। এদিকে, ভেন্টিলেশন সাপোর্ট-এ রাখা হলেও নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। রবিবার বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন এক জন মহিলা। পরে হাসপাতালে মারা যান ৫৫ বছরের আরও এক জন মহিলা। কালামাসেরি মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম শীর্ষ আধিকারিক রবিবারই জানিয়েছিলেন, তাঁদের হাসপাতালে আহতদের মধ্যে দশ জন ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দু’জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। আর এক জনের অবস্থা অতি সঙ্কটজনক।

উল্লেখ্য, কেরলের কোচি শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে কালামাসেরিতে তিন দিন ধরে একটি ধর্মীয় সম্মেলন চলছিল। রবিবার ছিল তার শেষ দিন। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন প্রায় ২,০০০ জন। প্রার্থনার মাঝেই সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ হয়। এক মিনিটে পর পর প্রায় তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে কেরল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ৪৮ বছরের এক ব্যক্তি। নাম ডোমিনিক মার্টিন। তিনিই এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি না, তা অবশ্য এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এদিকে, বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য ২০ জন সদস্যের দল তৈরি করার কথা জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

 

 

 

Previous articleহরিদেবপুরে ডেপুটি কমিশনারের ঝু.লন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চা.ঞ্চল্য
Next articleপ্রিয়দর্শিনীর পর এবার দেবপ্রিয়! সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা জ্যোতিপ্রিয়র দাদার