মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও বিদ্রোহী শিবসেনা গোষ্ঠীর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য বিধানসভায় আবেদন জানিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এইবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকারকে।

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের বেঞ্চে সোমবার এই মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই ঠাকরে গোষ্ঠীর আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে অভিযোগ করে বলেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ পক্ষপাতিত্ব করছেন এবং অকারণে সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করছেন। এর পাশাপাশি এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার ও তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কদের পদ খারিজের আবেদনও জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে। শরদ পাওয়ারের দায়ের করা সেই মামলারও শুনানি হয় আদালতে। সেখানেই শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এইবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষ রাহুল নারওয়েকারকে। একইসঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের করা আবেদনের শুনানি সম্পূর্ণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিন আদালতে এই বিষয়ে উভয়পক্ষের বক্তব্য লিখিত আকারে চান প্রধান বিচারপতি। এবং সেই লিখিত বক্তব্যকে প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় কি না আইনজীবীদের কাছে সে বিষয়ে জানতে চান। উত্তরে সিব্বাল জানান, তারা আর কোনও প্রমাণ চান না। অন্যদিকে, শিণ্ডে গোষ্ঠী এর বিরোধিতা করে। নথির বৈধতা না দেওয়া ও সই জাল করার অভিযোগ করে শিণ্ডে গোষ্ঠী। এরপর বিচারপতি মৌখিক ভাবে জানান, “আপনারা অধ্যক্ষের সামনে সমস্ত ঝগড়া বিবাদ চালিয়ে যান। তবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তবে এই প্রক্রিয়া নির্বাচন ঘোষণা এবং বিধানসভার সমাপ্তি হওয়া পর্যন্ত যেন না চলে।

Previous articleমালয়লি জনপ্রিয় অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃ.ত্যু!
Next articleহা.মাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যু.দ্ধে আখেরে লাভবান হচ্ছে ১৭০০ কিলোমিটার দূরের কাতার!