হা.মাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যু.দ্ধে আখেরে লাভবান হচ্ছে ১৭০০ কিলোমিটার দূরের কাতার!

যুদ্ধে তাঁদের জয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এই দ্বন্দ্বে আখেরে লাভ হচ্ছে অন্য এক দেশের।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ ২৩ দিনে পা দিল। আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলিকে যুদ্ধে পাশে পেয়েছে ইজরায়েল। তারা গাজায় স্থলপথে অভিযান শুরু করেছে। হামাসের হাতে বন্দি ইজরায়েলিদের মুক্ত করাই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।যুদ্ধে তাঁদের জয় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু এই দ্বন্দ্বে আখেরে লাভ হচ্ছে অন্য এক দেশের।

সেই দেশটি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার দূরে।দেশটির নাম কাতার। তাকেই এই যুদ্ধে ‘আসল লাভবান’ বলে মনে করছেন অনেকে।পশ্চিম এশিয়ায় আসলে ‘ডবল গেম’ খেলে কাতার। তারা প্রকাশ্যে হামাসকে সমর্থন করে। আবার সময় বিশেষে তাদের সঙ্গে সমঝোতাও করে এবং করায়।২০০৭ সাল থেকে তারাই ওই এলাকার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কোনও আন্তর্জাতিক শান্তিচুক্তিকে মানে না হামাস। তারা জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য হল ইজরায়েলের ভূখণ্ড দখল করা এবং সেখান থেকে ইহুদিদের তাড়ানো। একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলাও হামাস করেছে বলে অভিযোগ।

২০১২ সালে কাতারের রাষ্ট্রপ্রধান প্রথম বার গাজায় যান। শহরটির পুনর্গঠনের জন্য তিনি ৪০ লক্ষ ডলার অর্থসাহায্যও করেছিলেন। তার পর থেক অর্থসাহায্য কখনও বন্ধ হয়নি। কাতার থেকে এখনও গাজ়ায় প্রতি মাসে তিন কোটি ডলার পাঠানো হয়।কারও কারও মতে, হামাস কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন নয়। বরং তারা একটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোষ্ঠী, যারা প্যালেস্তাইনের জন্য লড়াই করছে।কিন্তু অদ্ভূত বিষয় হল, হামাসের শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই গাজায় থাকেন না। ২০১২ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতারা ছিলেন সিরিয়াতে। কাতারেও তাদের অনেক নেতা থাকেন।

এমনকী, কাতার হামাসকে তাদের বিভিন্ন অভিযানে সাহায্য করে। হামাসের নেতারা ভিন্‌দেশ থেকে গাজায় অভিযান পরিচালনা করেন। পশ্চিম এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটে কাতার বরাবর সমঝোতাকারীর ভূমিকা পালন করে এসেছে। হামাস হোক বা লেবাননের হিজ়বুল্লা কিংবা আফগানিস্তানের তালিবান, কাতারের সঙ্গে সকলেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।

Previous articleমহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত
Next articleকল্যাণী এমইস নিয়োগ দু.র্নীতি মামলায় এবার সিআইডি’র নজরে ডিরেক্টর! ভবানী ভবনে তলব