অবাধ্য নাবালিকা কন্যাকে শাস্তি দিলেন গর্ভধারিণী। যাকে জন্ম দিয়েছিলেন, সেই মেয়েকে কুপিয়ে খুন করে কুয়োয় ফেলে দিলেন মা। সঙ্গ দিল কিশোরী মেয়েটির সহোদরারা। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠছেন সকলে।

উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বীর মনঝনপুরে গ্রাম্য যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৫ বছরের ওই নাবালিকার। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল তার মা শিবপতির। কিন্তু কিশোরবেলার প্রেম সে কথা শোনেনি। অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের পনেরো বছরের কন্যাকে খুন করে গ্রামেরই এক কুয়োতে ফেলে দিয়েছিলেন তার মা। এর পর থানায় কন্যার অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন নিজেই।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ (Police)। কয়েকদিন পরে কুয়েতে মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন গ্রামের মানুষ। দেহ কন্যার বলে শনাক্ত করেন শিবপতি। তদন্তে নেমে সন্দেহ হয় পুলিশের (Police)। জেরার মুখে শিবপতি স্বীকার করেন, তিনিই মেয়েকে খুন করেছেন।

মহিলার অভিযোগ, গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর মেয়ে প্রেম করত। বারণ করা সত্ত্বেও শোনেনি। সেই কারণেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে খুন করেন মা। সাহায্য করে বোনেরা। শিবপতি ও তার অন্য কন্যাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মায়ের এহেন আচরণ দেখে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা।

আরও পড়ুন- বে.হাল স্বাস্থ্য পরিষেবা! বিনা চি.কিৎসায় যোগীরাজ্যে প্রা.ণ গেল প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের ছেলের
