পুজোতেও সারারাত নজরদারি: বাড়ি থেকে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্পেন ও দুবাইয়ের শিল্প সম্মেলন থেকে ফিরে পায়ে তীব্র যন্ত্রনা। ইনফেকশন। কিন্তু পায়ে গুরুতর চোট নিয়েই কালীঘাটের বাড়িতে বসে নিরন্তর প্রশাসনিক কাজ করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পুজোর ছুটির দিনগুলিতেও তিনি প্রায় বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন। গোটা বাংলা যখন দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে তখন তিনি বাড়িতে বসেই গোটা রাজ্যের খবর নিয়েছেন। নিরন্তর মনিটর করেছেন। পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছেন। বুধবার, নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ক’দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা (Mamata Banerjee) জানান, হাতে চ্যানেল ছিল। চলেছে ইন্টারভেনাস। নবান্নের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের ফাইল বাড়িতে বসেই দেখেছেন। মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাড়িতে থাকলেও এক মুহূর্তেও কাজ ছাড়া অন্য কোনও দিকে তাকাননি মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকও কালীঘাটের বাড়িতে করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন পুরোপুরি ওয়ার্ক মোডে।

চোটের কারণে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে নবান্নে না গেলেও, বাড়িটাকেই দফতর বানিয়ে ফেলেছিলেন। মমতা জানান, মুখ্যমন্ত্রী বাসস্থানই তাঁর কার্যালয় হতে পারে। বিশ্রাম ভুলে পুজোর মুখে প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঠাঁই বসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন। এমনকী মহালয়ার দিন দলীয় মুখপত্র জাগোবাংলা-র অনুষ্ঠানও বাড়ি থেকেই করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে গত শুক্রবার রেড রোডে পুজো কার্নিভালের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

Previous articleপুলিশকে দেওয়া বিবৃতি প্রমাণ নয়, স্পষ্ট জানাল শীর্ষ আদালত
Next articleচলবে সংস্কারের কাজ! বুধবার থেকে আংশিক বন্ধ দ্বিতীয় হুগলি সেতু, জানুন বিকল্প রাস্তা