কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে মুম্বাই পালালো তিন বোন! পুলিশি তৎপরতায় উদ্ধার

শেষ পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ।

বাড়ির লোক ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি তিন বোন এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে। বাড়ির লোক চেয়েছিল বিয়ে দিয়ে দিতে, আর তাতেই আপত্তি ছিল তাদের। তাই যেমন ভাবা , তেমন কাজ। কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে সোজা মুম্বই পালাল তিন বোন। শেষ পর্যন্ত মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের উদ্ধার করল পুলিশ। দুর্গাপুর ফরিদপুর থানার তিলাবনি এলাকার এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।

জানা গিয়েছে, বছর ১৬-র ছোট বোন লাউদোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। ১৭ বছরের মেজো বোন বীরভূমের পাথরচুপরি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, এবং বছর ২০-র বড় বোন পাণ্ডবেশ্বর গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ‌ সম্প্রতি বড় ও মেজো বোনের বিয়ে ঠিক হয়। সেই বিয়েতে আপত্তি ছিল ওই দুই বোনের। সেই আপত্তির মাঝেই গত ২২ তারিখ রাতে ওই তিন বোন তাদের কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে চেপে প্রথমে আসনসোল যায়। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাইয়ে চলে যায়। কিন্তু সেখান থেকে ফের হাওড়ায় ফিরে আসে। তারপর সেখান থেকে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনার দমদম স্টেশনে।

এদিকে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে ওই তিন বোন দমদমে রয়েছে। তারপরেই রবিবার তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার উদ্ধার হওয়া দুই নাবালিকাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই দুই নাবালিকাকে আসানসোলের জুভেনাইল আদালতে এবং বড় বোনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দুই নাবালিকার ১৮ বছরের নিচে যাতে বিয়ে দেওয়া না হয় সেই মর্মে তাদের বাবা নাসিমুদ্দিন খানকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়। তারপর তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে।

কী বলছেন তাদের বাবা? নাসিমুদ্দিন খান বলেন, ২২ তারিখ রাতে আমার ৩ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। লাউদোহা থানায় জানানো হয়। লাউদোহা থানা সহযোগিতা করে। কলকাতায় ছিল মেয়েগুলো। ওরা আমার হাতে তুলে দিয়েছে। কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। লাউদোহা থানাকে ধন্যবাদ।’
এই বিষয়ে বিডিও দেবজিৎ দত্ত জানান, তিনি ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।সুস্থ ও অক্ষত অবস্থান ৩ মেয়েকে ফিরে পেয়ে হাসি ফুটেছে পরিবারের সদস্যদের মুখে। যদিও ওই ৩ মেয়ে কেন একসঙ্গে পালাল তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশ ও পরিবারের কাছে।

Previous article‘অবা.ধ্য’ কন্যাকে চরম ‘শা.স্তি’ মায়ের! শি.উরে উঠলেন সকলে
Next articleসক্রিয় স্বাস্থ্য দফতর! রাজ্যে কমছে ডে.ঙ্গি আ.ক্রান্তের সংখ্যা