এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়েই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে বি.স্ফোরক মহুয়া

তবে এদিন লোকসভার স্পিকারকে পাঠানো বিস্ফোরক চিঠিতে বৃহস্পতিবারের এথিক্স কমিটির বৈঠককে "প্রবচনমূলক বস্ত্রহরণ" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মহাভারতের একটি অধ্যায় যেখানে দ্রৌপদী ভরা রাজসভায় কুরু বংশের দ্বারা অপমানিত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারই এথিক্স কমিটির (Ethics Committee) বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভার স্পিকার (Loksabha Speaker) ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি দিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। একজন মহিলা হিসাবে তাঁর মর্যাদা লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবারই ব্যক্তিগত, অশালীন এবং অনৈতিক প্রশ্নের অভিযোগে এথিক্স কমিটির বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন মহুয়া। চিঠিতে তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, প্যানেল দ্বারা অপমানজনক ব্যক্তিগত প্রশ্নের শিকার হয়েছেন তিনি।

তবে এদিন লোকসভার স্পিকারকে পাঠানো বিস্ফোরক চিঠিতে বৃহস্পতিবারের এথিক্স কমিটির বৈঠককে “প্রবচনমূলক বস্ত্রহরণ” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। মহাভারতের একটি অধ্যায় যেখানে দ্রৌপদী ভরা রাজসভায় কুরু বংশের দ্বারা অপমানিত হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে এনে সন্ধ্যায় স্পিকার ওম বিড়লার কাছে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান আমাকে বস্ত্রহরণের ন্যায় অপমান করেছেন। শুনানির সময় সংসদের নীতিশাস্ত্র কমিটির চেয়ারম্যানকে “অশালীন, অনৈতিক এবং পক্ষপাতদুষ্ট” আচরণের জন্যও অভিযুক্ত করেছেন মহুয়া। তাঁর অভিযোগ নীতিশাস্ত্র প্যানেলের কোনও নীতি বা নৈতিকতা অবশিষ্ট নেই। চিঠিতে, তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, এটা কতটা লজ্জাজনক যে আমি, লোকসভার মাত্র ৭৮ জন মহিলা সদস্যের একজন হিসাবে, কমিটির চেয়ারম্যানের দ্বারা শুনানির নামে বস্ত্রহরণের শিকার হচ্ছি।

পাশাপাশি ওম বিড়লাকে লেখা তাঁর চিঠিতে মৈত্র বলেছেন, বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে, চেয়ারম্যান বিদ্বেষপূর্ণভাবে এবং স্পষ্টভাবে একটি মানহানিকর উপায়ে আমাকে প্রশ্ন করে পূর্বকল্পিতভাবে এতটাই পক্ষপাতিত্ব করেছেন যে, উপস্থিত ১১ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জন এই লজ্জাজনক আচরণের প্রতিবাদে কার্যধারা বর্জন করেন। সবার লগ ইন পাসওয়ার্ড শেয়ার করা নিয়ে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, লগ ইন সংক্রান্ত নিয়ম কি আছে, আর যদি কোনও নিয়ম থেকেই থাকে তাহলে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সংসদদের আগে জানানো হয়নি কেন? কারণ সংসদের আই ডি-তে যদি কেউ লগ ইন করে যদি কোন বিষয়ে আপলোড করে তাহলে সেই সংক্রান্ত ওটিপি আসত। মহুয়া এদিনের চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন প্রত্যেকটা সংসদই তাদের লগ ইন পাসওয়ার্ড শেয়ার করে থাকে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংসদদের আগে জানানো হয়নি কেন এই প্রশ্নই তুলেছেন মহুয়া মৈত্র।

 

 

 

 

Previous articleবা.জির শব্দের ঊর্ধ্বমাত্রা বাড়ানো মামলায় হস্তক্ষেপ নয়! ৩ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা তলব হাই কোর্টের
Next articleশ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একাধিক নজির, সঙ্গে ম‍্যাচের সেরা, লঙ্কানদের উড়িয়ে কী বললেন মহম্মদ শামি?