লা.গামছাড়া পেঁয়াজের দামে চোখে জল মধ্যবিত্তের, নি.য়ন্ত্রণে আসরে ‘নাফেদ’

পুজোর পরেই চড়েছে দাম। নবমী- দশমীর পরেই কলকাতার বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। লক্ষ্মীপুজো মিটতেই সেই দাম শহরের কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

দুর্গাপুজো কেটে গিয়েছে,শেষ হয়েছে লক্ষ্মীপুজো। এবার অপেক্ষা কালীপুজোর।স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের মধ্যে পকেটে টান সাধারণ মানুষের। এমনিতেই পুজো পার্বণে খরচ বাড়ে আমজনতার। তার মধ্যে বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম।ফের একবার রেকর্ড দামে কলকাতায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। দুর্গাপুজোর পর থেকেই কলকাতার পাইকারি বাজারে বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। ফলে দাম বেড়েছে খুচরো বাজারেও।

কলকাতায় পুজোর আগে খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা প্রতি কেজি। তবে পুজোর পরেই চড়েছে দাম। নবমী- দশমীর পরেই কলকাতার বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা। লক্ষ্মীপুজো মিটতেই সেই দাম শহরের কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে।

কিন্তু কেন এই লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধি?এই প্রসঙ্গে কোলে মার্কেট ভেন্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স টিমের সদস্য কমল দে জানান, পুজোয় মানুষের ভিড়ের জেরে বাড়ছে সবজির দাম। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এবছরে মহালয়া থেকেই শহর কলকাতায় মানুষের ঢল নেমেছিল। ফলে দুর্গাপুজোর দিনগুলোতে বাইরের রাজ্য থেকে পেঁয়াজ এ রাজ্যে আসতে পারেনি। এছাড়াও মাহারাষ্ট্রেও ছিল গণেশ পুজো, দশেরার মতো উৎসব। সেই কারণেও আমদানি কিছুটা ব্যহত হয়েছে। এর উপরে বর্ষার পরে পেঁয়াজ তুলতেও কিছুটা দেরি হয়েছে- ফলে সব মিলিয়ে পাইকারি বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। যার ফলাফল দেখা যাচ্ছে খুচরো বাজারে।এরই সঙ্গে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা লাভের ইচ্ছাও কাজ করছে বলে জানান তিনি।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র।ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা নাফেদ, রাজ্যগুলির খাদ্যদপ্তরের সঙ্গে যুগ্মভাবে পিঁয়াজ বিক্রি করবে। তাও মাত্র ২৫ টাকা কিলো দরে। তবে একজন ক্রেতা একসঙ্গে ২ কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন না। কালোবাজারি রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, দিল্লি, জয়পুর, বিকানের, কোটা, চণ্ডিগড়, জলন্ধর, ভোপাল, রায়পুর ও হায়দরাবাদের মতো মোট ১২টি শহরে অল্প দামে বিক্রি হবে পিঁয়াজ। ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু শহরে পিঁয়াজ বিক্রি করবে কেন্দ্র।

তবে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম শীঘ্রই কমতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের পরে পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে ৩০-৪০ শতাংশ কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই কালীপুজোর আগে কলকাতা ও জেলার খুচরো বাজারেও কমতে পারে পেঁয়াজের দাম। প্রসঙ্গত, বাংলায় বছরে সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়। অন্যদিকে রাজ্যের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। ফলে বাকি পেঁয়াজ মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এরাজ্যে।

Previous articleমনে আছে আজ কী হয়েছিল?
Next articleবিশ্বভারতীতে ফলক বি.তর্কের মাঝেই ফলক নিয়ে নতুন নির্দেশিকা ইউনেস্কোর