সাইবার প্র.তারণার নয়া ফাঁ.দ! স.তর্কতা জারি দিল্লি পুলিশের

টাকা না দিলে রেকর্ড করে রাখা গোপন মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে।

সাইবার প্রতারণার নয়া ফাঁদ সেক্সটরশন! পা দিলেই খোয়াতে হচ্ছে অর্থ, সম্মান দুটোই। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই জালিয়াতরা প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্র। কীভাবে ঘটছে সেক্সটরশন? অভিযোগ, যৌনতার ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেল করে মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। টাকা না দিলে রেকর্ড করে রাখা গোপন মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে, দিল্লি পুলিশ রাজস্থানের ভরতপুর থেকে এমনই অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপতার করে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলকে “যৌন কলের” অভিযোগে ওই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একটি অজানা নম্বর থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলের উত্তর দেওয়ার পরে যৌন হয়রানি শুরু হয়েছিল। ফোন করার সময় অপরাধীরা তাকে ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশ্যে একটি অশ্লীল ভিডিও চালায়। তবে মন্ত্রী দ্রুত কল কেটে দিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে জানান। প্রসঙ্গত, এটি যৌন হয়রানির কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভিডিও কলের জনপ্রিয়তার সাথে যৌন নির্যাতনের অপরাধ দ্রুতগতিতে বেড়েছে।

শুধু দিল্লি পুলিশ নয়, ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)ও সেক্সটর্শন র্যাকেট সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। এফবিআই আমেরিকানদের সতর্ক করেছে যে অপরাধীরা এইভাবে ভয় দেখানো এবং ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায় করছে। জুলাই মাসে একটি সার্কুলারে, ব্যুরো বলেছে যে এটি সম্প্রতি সাইবার অপরাধীদের কাছে টাকা রোজগারের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা অনলাইন পোস্ট, ব্যক্তিগত বার্তা বা ভিডিও চ্যাট থেকে নেওয়া বিভিন্ন ছবিগুলিকে ব্ল্যাকমেলকরতে ব্যবহার করছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মান খোয়ানোর ভয়ে নির্দেশ অনুযায়ী টাকা দিচ্ছেন।এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অচেনা নম্বর থেকে কোনও ভিডিও কল ধরতে নিষেধ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে দ্রুত পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Previous articleআজ ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না অরবিন্দ কেজরিওয়াল!
Next articleঅব.সাদের জের! ফের দিল্লি IIT-তে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের চ.রম পরিণতি