বিশ্বভারতীতে ব্রাত্য খোদ রবীন্দ্রনাথ। ফলক বিতর্ক নিয়ে নিন্দায় সরব সব মহল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কবিগুরুকে অবজ্ঞা করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শান্তিনিকেতনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস উপাচার্যের কৈফিয়ত তলব করেছেন।

সেই আবহে এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ঘোষণা হওয়ার পরে কী ফলক বসবে সেই নির্দেশিকা ইউনেস্কোর তরফ থেকে এসে পৌঁছালো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে।

সম্প্রতি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছে ফলক বিতর্ক। তার কারণ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের নাম ও পাশাপাশি আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর নামে একটি ফলক বসিয়েছেন বিশ্বভারতী। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেখানে নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। যদিও ইউনেস্কোর তরফ থেকে যে নির্দেশিকা এসেছে সেখানেও নেই কারোর নামই। নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামও।

ইউনেস্কোর নির্দেশিকায় শুধুমাত্র লেখা আছে, যে ফলকে লিখতে হবে, “বৈস্বিক সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষনার্থে শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্য সারণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই সারণিতে অন্তভুক্তি শান্তিনিকেতনের বিশ্বজনীন সংস্কৃতিক ও প্রকৃতিক গুরুত্ব সুনিশ্চিত করে, এবং বিশ্বমানবের স্বার্থে এটির সুরক্ষা অবশ্যক”।
