৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে, তবে মণিপুরের(Manipur) অবস্থা যেখানে ছিল সেখানেই পড়ে রয়েছে। হিংসায় লাগাম টানা যায়নি আজও। ভারত-মায়ানমার(Myanmar) সীমান্ত এলাকা মোরেতে গত মঙ্গলবার জঙ্গি হামলায় একজন মহকুমা পুলিশ অফিসার নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও দুই পুলিশ কর্মী। এহেন পরিস্থিতির মাঝে শুক্রবার থেকে নতুন করে জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর ওই এলাকা কার্যত জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে। জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে মায়ানমারের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। তারা সে দেশের সেনা পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার পাশাপাশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতেও খুন রাহাজানি করে চলেছে। মোরের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় মায়ানমার জঙ্গিদের সক্রিয় ভূমিকা নজরে এসেছে প্রশাসনের। এই অবস্থায় আর অপেক্ষা না করে ভারতের ওই ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে জোরদার অভিযান শুরু হচ্ছে শুক্রবার। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত মোরেতে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তা জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। সড়ক পথ ছাড়াও দুর্গম এলাকায় ছোট বিমান থেকে সেনা নামানো হয়। ওই এলাকাকে জঙ্গি মুক্ত করতে ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সূত্রে তথ্যসংগ্রহ করেছে সরকারি এজেন্সিগুলি।
এদিকে মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না প্রশাসনের। গত কয়েকদিনে সেভাবে বড় কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে পরিস্থিতি যে কোনও সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ ৩ মে জাতিদাঙ্গা শুরুর পর কুকি বহুল চূড়াইচাঁদপুর এবং মৈতেই প্রধান বিষ্ণুপুর ও পূর্ব ইম্ফল জেলার অস্ত্রাগার থেকে লুঠ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের ৭৫ শতাংশ এখনই উদ্ধার করা যায়নি। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ রাউন্ড গুলি জঙ্গিরা লুঠ করে। বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনার তদন্তে বোঝা যাচ্ছে লুঠ হওয়া অস্ত্র ব্যবহার করছে দুই গোষ্ঠী।