রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৮৫ লক্ষ রেশন কার্ড (Ration Card) ভুয়ো, এই তথ্য একেবারেই নতুন নয়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘এক কোটি রেশন কার্ড আমরা বাতিল করেছি।’’ রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের কাজ চলাকালীন অজস্র রেশন কার্ডের তথ্যের সঙ্গে আধারের তথ্য মেলেনি। পরে ওই রেশন কার্ডগুলিকে চিহ্নিত করে সময়ের সঙ্গে নিষ্ক্রিয় করা হয় বলে খবর। পাশাপাশি উপযুক্ত প্রমাণ দিলে তবেই কার্ডকে সক্রিয় করা হবে বলে জানানো হয়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হয়েছে রাজ্যের। যার বছরে রাজ্যের প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে মন্তব্য করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

শুভেন্দু এদিন মমতাকে নিশানা করে লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি গল্প তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন যে এটি খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের প্রাক্তন মন্ত্রীর কারণে হয়েছিল। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রচেষ্টায় রেশন কার্ডগুলি ডিজিটালাইজ করা হয়েছিল এবং ১ কোটিরও বেশি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সর্বদা রেশন কার্ডের ডিজিটালাইজেশনের (Digitalization) বিরুদ্ধে ছিল, যা জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার পরে বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। এমনকি রাজ্য সরকার ‘এক জাতি এক রেশন কার্ড’ প্রকল্পের বিরোধিতা করেছিল এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগটির বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হয়েছিল।
আর গদ্দারের এমন পোস্টের পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) লেখেন, ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে মোট ৪.২৮ কোটি রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এই তালিকাটিকে একপ্রকার নেতৃত্ব দিয়েছে। সেখানে বাতিল হয়েছে ১.৭ কোটি, যা সমগ্র সংখ্যার ৪০ শতাংশ। বিস্ময়কর! তাহলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠেনি কেন? নাকি আপনার বিজেপি সহকর্মীদের বিষয় উত্থাপিত হলে আপনি অন্ধ হয়ে যান?
