‘হাটে হাঁড়ি ভে.ঙেছেন’ কুণাল! ‘রাগে’ খোঁ.চা শিশিরের, পাল্টা ধু.য়ে দিলেন তৃণমূল মুখপাত্র

যেমন কথা তেমন কাজ। কাঁথির অধিকারী পরিবারের হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ্যে আনবেন বলে শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক জানিয়ে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার সকাল ১১টা ২০মিনিট নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করলেন কুণাল। আর তাতেই বেজায় ক্ষেপে তৃণমূল মুখপাত্রকে কটাক্ষ করেন বর্ষীয়ান সাংসদ। এরপর, শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা শিশির অধিকারীকে ধুয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

আগে জেনে নেওয়া যাক, কী অভিযোগ কুণালের?
তৃণমূল মুখপাত্র জানান, বাংলায় সবচেয়ে সম্পত্তি বৃদ্ধির নজির শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari)। এক বছরে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ১০ কোটি টাকা। কোন জাদুতে ১০ কোটি টাকা সম্পত্তি একবছরে বেড়ে গেল? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র। এর সপক্ষে একাধিক নথিপত্র পোস্ট করেন কুণাল।

এরপরেই মেজাজ হারান শিশির অধিকারী। সংবাদ মাধ্যের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘জেল খাটা আসামির প্রশ্নের কোনও জবাব আমি দেব না। ১৯৬৮ সাল থেকে আমি আয়কর দিচ্ছি। সব রেকর্ড আছে। কেউ চাইলে দেখে নিতে পারে।’’

আরও পড়ুন: অবতরণের সময় বিপত্তি! কোচির নৌসেনার বায়ুঘাঁটিতে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃ.ত ১

এরপরেই ফের বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে শিশিরকে তুলোধনা করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, কুণাল ঘোষের কথার জবাব দিতে হবে না। কিন্তু যে তথ্য নির্বাচন কমিশনে শিশিরবাবু জমা দিয়েছেন, সেই নথি অনুযায়ী বলুন, কী করে একবছরে ১০ কোটি টাকা সম্পত্তি বাড়ল! প্রধানমন্ত্রীর দফ ওয়েবসাইটে পরিষ্কার ভাবে লেখা রয়েছে, ২০০৯ সালে শিশিরের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫ লক্ষ টাকা, ২০১১ সালে ১৬ লক্ষ টাকা দেখানো হয়, ২০১২ সালে ১০ কোটির বেশি সম্পত্তি দেখানো হয়। এক বছরে ১০ কোটির বেশি আয় বাড়ে কী করে? এক বছরে ১০ কোটি টাকার বেশি এল? হিসেবে গন্ডগোল থাকলে সংশোধন করালেন না কেন? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।

এরপরেই কাঁথির অধিকারী পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করেন কুণাল। বলেন, “এক বছরে ১০ কোটি টাকা এল কোথা থেকে? তার পরের বছরগুলিতে আবার রাতারাতি কম দেখান, ৩ কোটি, ১ কোটি-সেই টাকা কোথায় গেল? কাদের দিলেন? মানুষ জানতে পেরে যাবে অধিকারীদের কোটি কোটি টাকা আছে, সেই কারণেই কি চুপিচুপি সরিয়ে চার বছর পর তিন কোটি দেখাচ্ছেন? শিশির অধিকারীর সম্পত্তিবৃদ্ধির যে নথি, লোকসভার রেকর্ডে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ওয়েবসাইটেও রয়েছে। উনি আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেই পারেন। কিন্তু হিসেব দিতে হবে। ওঁর ছেলে সকলের দিকে আঙুল তুলছেন, আগে বাবার কাছে হিসেব চান।”

কুণালের কথায়, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় কম করে দেখানো হয়েছে সম্পত্তি এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে দেওয়া তথ্য আলাদা। এটা কি তথ্যগোপন নয়? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র।

Previous articleটেট পাশের নথি নেই! হাই কোর্টের নির্দেশে বাতিল ৯৪ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি
Next articleবাতিল রেশন কার্ডের প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুকে ধুয়ে দিলেন কুণাল, মনে করালেন যোগীরাজ্যের কথা