পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলীয় মুখপত্রের সম্পাদক বদল করল আলিমুদ্দিন। রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশনে দৈনিক মুখপত্র ‘গণশক্তি’র সম্পাদক বদল করল CPIM। দেবাশিস চক্রবর্তীর জায়গায় নিলেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী তথা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী (Shamik Lahiri)। ‘জ্যোতি বসু স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবাশিসকে।

রবিবার সিপিআইএমের বর্ধিত অধিবেশন শেষ হয়। এই অধিবেশনে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে নতুন ৩ জনকে ‘কো-অপ্ট’ করা হল।

- ফৈয়জ আহমেদ খান (কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ)
- বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (রাজ্যসভার সাংসদ)
- হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য (DYFI-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক)
সামনে লোকসভা ভোট। কিন্তু পায়ের তলায় মাটির কোনও চিহ্ন নেই সিপিএমের। এই পরিস্থিতিতে জনমত গঠন করতে চাইছে আলিমুদ্দিন। সেই কারণ গণশক্তি-কে হাতিয়ার করতে চাইছে সিপিএম। তবে, আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, প্রাক্তন সম্পাদক অভীক দত্তের মৃত্যুর পর থেকেই মুখপত্রের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি টালমাটাল। অনেক কর্মীই ‘গণশক্তি’ থেকে দূরত্ব তৈরি করেন। ‘গণশক্তি’র দফতর নিয়ে আলিমুদ্দিনে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়ে। ছাপানো সংবাদপত্রের সার্কুলেশন তলানি বললেও কম বলা হয়। এমনকী, অনলাইনের রিচও তথৈবচ। দলীয় দৈনিককে ওয়েবে যুগোপযোগী করতে চাইছে আলিমুদ্দিন।

আরও পুড়ন: থলিয়ায় মজুমদার বাড়িতে ১৬৯ বছর ধরে থোড় দিয়ে মাকালীর পুজো হচ্ছে

রাজ্য সিপিএমের নেতাদের মতে, শমীক লাহিড়ী (Shamik Lahiri) ডিজিটাল বিষয়ে দক্ষ। সেই কারণেই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, আরেক অংশের মতে, রাজ্য সম্পাদর মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে শমীকের সম্পর্ক ভালো। গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে শমীক, পলাশ দাস এবং কলকাতা জেলার সম্পাদক কল্লোল মজুমদার গণশক্তির কাজ দেখতেন।

এদিকে, শমীক মুখপত্রের সম্পাদক হওয়ায় এবার প্রশ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক কে হবেন? জেলা সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য শমীক। সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে তিনটি স্তরে থাকতে পারেন না। পলিটব্যুরোর বিশেষ অনুমতি লাগে। অতীতে এই অনুমতি পেয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেব। তবে, শমীকের ক্ষেত্রে সেই পথে না হেঁটে নতুন মুখের খোঁজে আলিমুদ্দিন।
