ব্যাট হাতে বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। একদিকে গৃহযুদ্ধে জেরবার বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)অথচ তা নিয়ে যেন হেলদোল নেই সাংসদের। বিশ্বকাপের আবহে বিজয়া সম্মিলনীতে খোশ মেজাজেই মাঠে নেমে পড়লেন তিনি। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মাতলেন ক্রিকেট খেলায়। গত দুদিন ধরে যেভাবে কর্মী থেকে নেতারা বিক্ষোভে জড়াচ্ছেন তাতে বিজেপির হতশ্রী চেহারা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কয়েকদিন আগে থেকেই একের পর এক দলবিরোধী মন্তব্য করে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপির সম্পাদক অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder)সঙ্গে তাঁর বিরোধ চওড়া হচ্ছে। দলের যখন এই হাল তখন মাঠে নেমে ক্রিকেট খেলতে ব্যস্ত সাংসদ সাবধানে এড়ালেন দলের কোন্দল প্রসঙ্গ।
বুধবার লেকটাউন বিজয়া সম্মিলনী করতে গিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়লেন দিলীপ। রাজনৈতিক মন্তব্য করলেন বটে কিন্তু নিজের সযত্নে নিজের দলের ঝামেলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন। তৃণমূলের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল থেকে নজর ঘোরাতে চাইলেন। বুধবারই বীরভূমের খয়রাশোলে বিজয়া সম্মিলনীর এক অনুষ্ঠান করার কথা ছিল বিজেপি দলের নেতা অনুপমের। কিন্তু আচমকাই বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে খয়রাশোলের অনুষ্ঠানে নিজের প্রাণসংশয়ের আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন। আর ঠিক তার ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ভাঙচুর করা হয় খয়রাশোলের সেই অস্থায়ী মঞ্চ। পাশাপাশি নিজেদের দলের কর্মীদের মধ্যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা সামনে আসে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের প্রকাশ্যে এলে এল বিজেপির ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা’। এদিনের ঘটনায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা অমিতাভ চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ ধ্রুব সাহা ও অনুপ সাহার দিকে আঙুল তুলেছেন অনুপম। নিশানা করেছেন সুকান্তকেও। এর আগে মঙ্গলবার পুজো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে মগরাহাটের বিজেপি নেতৃত্ব। দুর্গাপুজোর পর্ব মিটিছে। মঙ্গলবার বিজেপির তরফ থেকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই দলীয় কর্মীদের তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন BJP নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষের সামনেই এই বিষয় নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরই দলের কর্মীরা। সেই নিয়েও এদিন একটি শব্দও খরচ করেননি সাংসদ।