Thursday, August 21, 2025

রাজধানীর দূ.ষণ থেকে রক্ষা পেতে কৃ.ত্রিম বৃষ্টি নামাবে কেজরিওয়াল সরকার

Date:

Share post:

নভেম্বরের গোড়াতেই দূষণে জেরবার রাজধানী দিল্লি। জোড়-বিজোর নীতি চালু করে, কল-কারখানা বন্ধ রেখেও হচ্ছে না সুরাহা। তাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে সরকার। দূষণ থেকে মুক্তি পেতে, কৃত্রিম উপায়ে দিল্লির বুকে বৃষ্টি নামানো হবে। চলতি মাসের শেষ দিকেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়ে আনা হবে রাজধানীর বুকে।

বুধবার এই ঘোষণা করেছেন দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই। এদিন আইআইটি কানপুরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক সেরে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর ঘোষণা করেন গোপাল। তিনি জানান, বাতাসের ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা নামিয়ে আনতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। আকাশ মেঘলা থাকলে ২০ থেকে ২১ নভেম্বর দিল্লির বুকে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গোপাল রাই বলেন, দূষণ পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ‘ক্লাউড সিডিং’ অর্থাৎ, কৃত্রিম বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে আইআইটি কানপুর  গবেষকদের সঙ্গে বৈঠক  হয়। সে বৈঠকেই এই প্রস্তাব পেশ করা হয়। বৃহস্পতিবার  এই নিয়ে তাঁরা সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রস্তাব পাঠাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এনসিআরে দূষণের মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে।  দূষণ রোধ করার জন্য জিআরএপি ৪  সহ অনেক পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাফল্য মেলেনি।  দূষণ মোকাবিলায় কেজরিওয়াল সরকার এখন তাই নতুন পরিকল্পনা  নিতে  চলেছে। মনে করা হচ্ছে সরকারের এই পরীক্ষা দিল্লির দূষণ দূর করবে কিছুটা হলেও।বিজ্ঞানীরা  জানিয়েছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প বা মেঘ থাকলে তবেই এই কৃত্রিম বৃষ্টি করানো সম্ভব। আবহবিদদের যুক্তি, আগামী ২০-২১ নভেম্বর দিল্লির  পরিস্থিতি কৃত্রিম মেঘের  অনুকূল হওয়ার  সম্ভাবনা। আইআইটি-র বিজ্ঞানীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে শীর্ষ আদালতে দিল্লি সরকার শীঘ্রই একটি রিপোর্টও জমা দেবে।

গোপাল রাই আরও জানিয়েছেন, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়, আমরা এই প্রস্তাবটি পেশ করব যাতে আদালত এটি দেখতে পারে। আদালত যদি অনুমতি দেয় তবে আমরা প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে কেন্দ্রের সাথে  কথা  বলবো।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও রাজধানীতে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৩৯৮ , যা মারাত্মক স্তরে ।

কীভাবে সম্ভব কৃত্রিম বৃষ্টি? এই বৃষ্চি পেতে প্রথমে সিলভার আয়োডাইড স্প্রে করে ক্লাউড সিডিং অর্থাৎ নকল মেঘ প্রস্তুত করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য, মেঘের মধ্যে ছোট ছোট কণা পাঠানো হয় যা মেঘের মধ্যে গিয়ে  সিলভার আয়োডাইড, শুকনো বরফ এবং ক্লোরাইড স্প্রে করে। এ কারণে মেঘে জলের ফোঁটা জমে যায়। এই জলের ফোঁটা পরে বৃষ্টিতে পরিণত হয়। এই অভিজ্ঞতা যদিও দিল্লির মানুষের কাছে নতুন তবে এই প্রযুক্তি আগেই  ব্যবহার করেছ আমেরিকা, চিন, ইজরায়েল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সহ অনেক দেশ । জানা গিয়েছে,  বাতাসের গতিবেগ অনুযায়ী মেঘে রাসায়নিক স্প্রে করতে ঘণ্টায় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হয়।

 

spot_img

Related articles

পুজোয় আসছে ৪ বাংলা ছবি, সিনেমা স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত: জানালেন পিয়া

সিনে প্রেমীদের জন্য সুখবর। এই বছর পুজোয় চারটি বাংলা ছবি (Bengali Film) মুক্তি পেতে চলেছে। প্রথম বৈঠকের পরে...

স্বাস্থ্য-জীবনবিমা থেকে GST প্রত্যাহারের প্রস্তাব, মন্ত্রিগোষ্ঠীর কাছে পাঠাল কেন্দ্র 

অবশেষে স্বাস্থ্য ও জীবন বিমায় প্রিমিয়ামের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাঠাল কেন্দ্র। জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রীগোষ্ঠীর...

পর্দায় এবার রাজশেখর বসুর জীবন, আসছে ‘পরশুরাম, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’

পরিচালক অভিজিৎ পাল ও তাঁর বন্ধুদের প্রযোজনায় আসছে রাজশেখর বসুর (Rajshekhar Basu) জীবন নিয়ে প্রথম তথ্যচিত্র ‘পরশুরাম, দ্য...

নেপালের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে মোদি! চিন-বাণিজ্য ইস্যুতে ‘নতুন’ সীমান্ত সমস্যা

চীনের সঙ্গে নতুন করে বাণিজ্য শুরু করতে গিয়ে একের পর এক ধাক্কা ভারতের উপর। একদিকে ভারত চিনের বাণিজ্যিক...