Monday, November 10, 2025

হরগোবিন্দ খোরানা (১৯২২-২০১১) এদিন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে প্রয়াত হন। মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও হরগোবিন্দ ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তিনি অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবে রায়পুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিউক্লিক অ্যাসিডগুলোর মধ্যে নিউক্লিওটাইডের ক্রম সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ১৯৬৮তে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এই নিউক্লিওটাইড কোষের জিনগত সংকেত বহন করে ও কোষে প্রোটিন সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে।

কে আর নারায়ণন (১৯২০-২০০৫) এদিন প্রয়াত হন। পুরো নাম কোচেরিল রমন নারায়ণন। ভারতের দশম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নেহরু তাঁকে ‘দেশের সেরা কূটনীতিক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর অনুরোধে রাজনীতিতে প্রবেশ। লোকসভায় পরপর তিনটি সাধারণ নির্বাচন জেতেন এবং প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন ১৯৯৮-এর সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন।

২০০০ উত্তরাখণ্ড ভারতের এক নতুন রাজ্য হিসাবে জন্ম নিল। উত্তরপ্রদেশ ভেঙে এই রাজ্যটি গঠন করা হয়। এই রাজ্যে বহু মন্দির ও তীর্থস্থান আছে বলে এটিকে ‘দেবভূমি’ বা ‘দেবতাদের দেশ’ বলা হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই রাজ্য বিখ্যাত। রাজধানী দেরাদুন। তৈরির সময় রাজ্যটির নাম রাখা হয় উত্তরাঞ্চল। পরে সেটি বদলে নতুন নাম দেওয়া হয় উত্তরাখণ্ড।

১৯৮৫ গ্যারি কাসপারভ এদিন কনিষ্ঠতম দাবাড়ু হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন। মাত্র ২২ বছর বয়সেই আন্তোলি কারপভকে পরাস্ত করে তিনি এই খেতাব জেতেন। এর পর ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন অবিসংবাদিত বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন।

১৯২২ আলবার্ট আইনস্টাইন এদিন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ফোটো আলোক-তড়িৎ ক্রিয়ার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য এই পুরস্কার তিনি পান। এটি আসলে ১৯২১-এর পুরস্কার। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞানে পুরস্কার প্রাপকের নাম জানাতে নোবেল কমিটি এক বছর দেরি করেছিল।

১৯৮৯ বার্লিন প্রাচীর ভেঙে ফেলার কাজ এদিন শুরু হল। প্রাচীরটি সুদীর্ঘ ২৮ বছর ধরে পূর্ব জার্মানি ও পশ্চিম বার্লিনের মধ্যবর্তী সীমানা পাঁচিল হিসেবে অবস্থিত ছিল। ইতিহাস বলছে, ১৯৮৯-র ৯ নভেম্বর মোটেও পাঁচিলটা পুরো ভাঙা যায়নি। লোকে পাঁচিলের গায়ে গাঁইতি, শাবল চালিয়েছিল। ইটের টুকরো পূর্বতন কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির স্মারক হিসেবে নিলামে বিক্রি হয়। পরের বছর ১৩ জুন থেকে সরকারি ভাবে দেওয়াল ভাঙা শুরু হয়, দুই জার্মানির মুদ্রাব্যবস্থা এক হতেও সময় লেগেছিল।

১৯৩৮ ক্রিস্টালাঞ্চ বা ভাঙা কাচের রাত শুরু হয় এদিন। সমগ্র জার্মানি ও অস্ট্রিয়ায় নাৎসি বাহিনী ইহুদি বিরোধী তাণ্ডব চালায়। ইহুদিদের বাড়িঘর, দোকানপাট, ধর্মস্থান, সব ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এক রাতে মেরে ফেলা হয় কমপক্ষে ৯১ জন ইহুদিকে।

Related articles

এক লাফে বেশ কিছুটা বাড়ল বাংলার ডেয়ারির দুধের দাম, একনজরে তালিকা

এক লাফে বেশ কিছুটা বাড়ল বাংলার ডেয়ারির দুধের দাম (Bangla Dairy)। ৫৬ টাকা থেকে ৬০-এ পৌঁছল বাংলার ডেয়ারি...

শেষরক্ষা হল না: মৃত্যু SIR আতঙ্কে বিষপান করা আশার, চিকিৎসাধীন শিশুকন্যা

শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হল SIR আতঙ্কে বিষপান করা ধনিয়াখালির আশা সোরেনের (Asha Soren)। এখনও হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন...

আছড়ে পড়ল সুপার টাইফুন উ-ওয়ং, ফিলিপিন্সে সুনামির স্মৃতি

প্রবল শক্তিশালী সুপার টাইফুন উ-ওয়ং আছড়ে পড়ল ফিলিপিন্সের অরোরা উপকূলে। রবিবার রাতে এই সুপার টাইফুনের (super typhoon) ল্যান্ডফলের...

নোটবন্দির মতো ভোটবন্দি! SIR স্থগিত করা উচিৎ: বৈধ নাম কাটলে প্রত্যাঘাতের বার্তা মমতার

নোটবন্দির মতো ভোটবন্দি করছে মোদি সরকার। ফের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata...
Exit mobile version