মণিপুরের মাটিতে হিংসা চালানোর অভিযোগে নটি মেইতি সংগঠনকে সোমবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় সরকার। এই সংগঠনগুলি মণিপুরে ব্যাপকভাবে সক্রিয়। এবং এদের বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর উপর মারাত্মক হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংগঠনকে আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। নতুন করে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও বেশ কিছু সংগঠন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যে সংগঠনগুলিকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলি ছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি যা সাধারণত পিএলএ নামে পরিচিত এবং এর রাজনৈতিক শাখা, রেভোলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট (আরপিএফ), ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) এবং এর সশস্ত্র শাখা মণিপুর পিপলস আর্মি (এমপিএ), পিপলস রেভোলিউশনারি পার্টি অফ কাংলেইপাক (প্রিপাক) এবং এর সশস্ত্র শাখা রেড আর্মি, কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (কেসিপি) এবং এর সশস্ত্র শাখা (যাকে রেড আর্মিও বলা হয়), কাংলেই ইয়াওল কানবা লুপ (কেওয়াইকেএল), সমন্বয় কমিটি (কোর কম) এবং অ্যালায়েন্স ফর সোশ্যালিস্ট ইউনিটি কাংলেইপাক (এএসইউকে)। পিএলএ, ইউএনএলএফ, প্রিপাক, কেসিপি, কেওয়াইকেএলকে আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্বারা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ৩৭ ধারার অধীনে এবং সর্বশেষ পদক্ষেপটি সময়সীমা পাঁচ বছর বাড়িয়েছে। অন্যান্য সংগঠনের ক্ষেত্রে বেআইনি ঘোষণা নতুন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে যদি মেইতি চরমপন্থী সংগঠনগুলিকে অবিলম্বে দমন ও নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে তারা তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী, নাশকতামূলক, সন্ত্রাসী এবং সহিংস কার্যকলাপ বাড়ানোর জন্য তাদের ক্যাডারদের একত্রিত করার সুযোগ নেবে। তারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরোধী শক্তির সাথে যোগসাজশ করে দেশবিরোধী কার্যকলাপ প্রচার করবে, বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালাবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করবে এবং তাদের বেআইনি কার্যকলাপের জন্য জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল তহবিল সংগ্রহ করবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ অর্থাৎ আজ থেকে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত এই সংগঠনগুলি নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষিত হচ্ছে।