ডিজিটাল প্রচারের ‘ক্যাডার’ খুঁজতে LinkedIn-এ বিজ্ঞাপন আলিমুদ্দিনের! তীব্র খোঁ.চা তৃণমূল-বিজেপির

বাংলার বিধানসভায় নেই একজনও বিধায়ক। পায়ের তলায় জমি নেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্পোরেট ধাঁচে নিজেদের হাল ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আলিমুদ্দিন। এমনকী, ডিজিটাল প্রচারে ‘ক্যাডার’ খুঁজতে LinkedIn-এ বিজ্ঞাপন দিল রাজ্য CPIM!

LinkedIn হল সেই প্ল্যাটফর্ম যেখানে চাকরিপ্রার্থী ও নিয়োগকারী সংস্থা নিজেদের প্রয়োজন মতো চাকরি বা প্রার্থী খুঁজে নেয়। এবার সেখানে অ্যাকাউন্ড খুলল রাজ্য সিপিএম। কারণ, তারা এমন তরুণ-তরুণী চাইছেন যাঁরা স্যোশাল মিডিয়ায় দড়। কিন্তু এটাকে পেশা নয়, নেশা হিসেবে দেখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সেখানে বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, যদি ডিজিটাল প্রচারে পারদর্শী হন, সঞ্চালনায় ঝোঁক থাকে, সমাজমাধ্যমে অবাধ বিচরণ হয়, মাঠে নেমে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন- তাহলে আপনার কাজে সুযোগ রয়েছে। তবে, চাকরি নয়, এই কাজটিকে নিতে হবে নেশা হিসেবে। লিঙ্কডইনে সিপিএমের এহেন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেরই মত, পুরনো ধ্যানধারণা ঝেড়ে ফেলে আধুনিক হতে চাইছেন পক্ককেশ নেতারা। এতদিন যাঁরা স্যোশাল মিডিয়া শু নাক কুঁচকোতেন তাঁরা এবার এর ব্যপ্তি বুঝেছেন। সেই কারণেই লোকসভা নির্বাচনের আগে সুকৌশলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে চাইছে আলিমুদ্দিন।

তবে, এভাবে প্রোফাইল খুন বিজ্ঞাপন নিয়ে সিপিএমকে মোক্ষম খোঁচা দিয়েছে কটাক্ষ দুই বিরোধী তৃণমূল ও বিজেপি। তৃণমূলের মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের কথায়, লোকের অভাব রয়েছে বলেই সিপিএম লিঙ্কড ইনে প্রোফাইল খুলে লোক চাইছে। তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টো। তৃণমূলের এতো লোক, যে সবাইকে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। লিঙ্কড ইনে প্রোফাইল খোলার কোনও ইচ্ছে বা প্রয়োজন তৃণমূলের নেই বলেও জানিয়েছেন দেবাংশু।

 

তবে, লিঙ্কডইনে প্রোফাইল রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু রাজ্য বিজেপির তরফে সমাজমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা সপ্তর্ষি চৌধুরীর মতে, তাঁদের কর্মীরাই কাজে এগিয়ে আসেন। ফলে ভাড়াটে সৈন্যের কোনও প্রয়োজন নেই।

 

তবে, এই বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখাতে চান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, বামমনস্ক তরুণ-তরুণীদের আরও বেশি করে দলের জায়গা দিতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু কেন দলের মধ্যে থাকা তরুণ প্রজন্মকেই এই দায়িত্ব দেওয়া গেল না? প্রশ্ন বিরোধীদের। গত কয়েকটি ভোটেই নতুনদের মুখ করে বৈতরণী পার হতে চাইছে সিপিএম। কিন্তু তাতেও শিকে ছিঁড়ছে না। সেই কারণেই এবার কর্পোরেট ধাঁচে ডিজিটাল প্রচারের ‘ক্যাডার’ খুঁজতে LinkedIn-এ বিজ্ঞাপন দিল আলিমুদ্দিন- মত রাজনৈতিক মহলের।

Previous articleটাইগার ৩-এর দা.পটে ২ দিনে ১০০ কোটির ক্লাবে সলমন! তবু ক্ষু.ব্ধ ফ্যানেদের আচরণে
Next articleবিশ্বভারতীতে এখনও ‘বিদ্যুৎ’ ! নির্বাক কর্তৃপক্ষ, ফেসবুকে ‘রাবীন্দ্রিক’ প্রতি.বাদ নীলাঞ্জনের